প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে টিকা নিয়েছেন এক লাখ সাত হাজার ৪৩৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৮ হাজার ৯৭০ জন এবং নারী ৪৮ হাজার ৪৬৩ জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধী জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩৪ এবং নারী ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৭৯০ জন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৮৯৭ জনের।
এতে আরও বলা হয়, মোট টিকা নেওয়া ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮২৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ছয় হাজার ৭৭৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নয় লাখ ৫৯ হাজার ৮৪০ জন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৪৮০ জন, রংপুর বিভাগে চার লাখ ৫৭ হাজার ৬৮১ জন, খুলনা বিভাগে ছয় লাখ ১৪ হাজার ৮৬০ জন, বরিশাল বিভাগে দুই লাখ সাত হাজার ৮৫৫ জন এবং সিলেট বিভাগে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৬৮৯ জন।
১৮ মার্চ বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৬০ লাখ সাত হাজার ১০৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্যানুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।
করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এদিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা করোনাভাইরাসের টিকা নেন।
গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা দেওয়া হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
ইতোমধ্যে অনেক বিশেষ ব্যক্তি এবং মন্ত্রীরাও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দেশব্যাপী এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।