সুবহানাল্লাহ, মুয়াজ্জিনের সুরেলা কণ্ঠে যখন আজানের বাণিগুলো উচ্চারিত হয় তখন এর সঙ্গে ছন্দ মিলে ফুটে এক ফুল। আযানের ধ্বনিগুলো যেন ফুলগুলোকে ইবাদতের জন্য জাগ্রত করে তুলে। প্রতিটি সুমধুর ধনিবনিতে পাপরিগুলো ক্রমান্বয়ে পরিস্ফুটিত হয়ে উঠে। ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব এবং এশা। প্রত্যেক ওয়াক্তের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ফুটে এই উদ্ভুত ফুল। আর সে কারণেই ফুলটির নাম দেয়া হয়েছে আযান ফুল।
সিএনএন’র রিপোর্ট বলা হয়েছে, সম্প্রতি আজারবাইজানের এক মুসলিম গ্রামে মোহাম্মদ রহিমের বাগানে এ ফুলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা আযানের ধ্বনিতে ফোটে। এই ফুল প্রতি পাঁচ ওয়াক্তে আযানের ধ্বনিতে ফোটে। আযানের পর আবার বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে এই ফুলকে অনেকেই ইভিনিং প্রাইমরোজ বা সানকাপস বা সানড্রপস নামে চেনেন । ১৪৫ প্রজাতির মধ্যে এটি একটি হলদে রঙের ফুল। ধারণা করা হয় এ ফুলের উৎস আমেরিকাতে।
অন্য গানের সুর বা কখনও আযানের মতো করে অন্য কোন সুর দিয়েও গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন কিন্তু এ ফুল ফোটেনি। এখন পর্যন্ত এর কোন ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে। বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে অনেক গবেষণা করেছেন কিন্তু কখনও এ বিষয়ে কোন কার্যকরী সূত্র আবিষ্কার করতে পারেনি।
তারা এই ফুলের সামনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক বাজিয়ে পরীক্ষা করেছেন, কিন্তু এই ফুল শুধু আজানের সময়ে আজান শুনেই ফোটে এবং আজান শেষে বন্ধ হয়।
আযানের শাশ্বতবাণী মহানবী (সা.) এর সময় থেকে পৃথিবীজুড়ে আজ পর্যন্ত চলছে। এত বছরে পৃথিবীতে একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি আযান।‘ আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর।
জানা যায়, নীলআর্মস্ট্রং যখন চাঁদে গেলেন তখন অপরিচিত অস্পষ্ট একটি সুর শুনতে পান। পরে তিনি কোন এক কাজে মিশরে যান, ওখানে যাবার পর তিনি সেই সুর স্পষ্ট ভাবে শুনে চমকে যান এবং যখন জানতে পারলেন যে ওটা আযান মুসলিমদের নামাযের প্রতি আহ্ববান, তখন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এই ফুল ফোটার ঘটনাটি আল্লাহর অপার মহিমা।
সূত্র : সিএনএন