বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সোলিহ। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বুধবার বাংলাদেশে আসেন তিনি। করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টই বাংলাদেশে আসা প্রথম ভিভিআইপি।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এসেছেন ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমেদও।
বিমানবন্দরে ভিভিআইপি টার্মিনালে গিয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর সোলিহকে বিমানবন্দরে উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করে দেন রাষ্ট্রপতি। সফরকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান করবেন সোলিহ।
সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে। এ সময় তার সম্মানে তোপধ্বনি দেয়া হয়।
লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয় সোলিহকে। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীতের সুর বাজায় ব্যান্ড দল।
এ সফরে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্ৰী আব্দুল্লাহ শহিদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্ৰীসহ মোট ২৭ জনের প্রতিনিধি দল রয়েছে।
বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন সোলিহ। এরপর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতেও সম্মান জানাবেন তিনি।
বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়ে বক্তব্য দেবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। বৈঠক শেষে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে চারটি সমঝোতা স্মারকে সই হওয়ার কথা রয়েছে।
ওই দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেবেন সফররত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। ওই দিন শেষে রাত ১টায় তিনি মালদ্বীপের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।