২০১৪ থেকে ২০১৯, এই ৬ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মোহাম্মদ নাভেদ এবং শাইমান আনোয়ার। পেস বোলার মোহাম্মদ নাভেদ করেছেন অধিনায়কত্ব, শাইমান আনোয়ার ছিলেন তার ডেপুটি।
৩৩ বছর বয়সী নাভেদ ৩৯ ওডিআই ম্যাচে ৫৩ এবং ৩১ টি-২০ ম্যাচে ৩১টি উইকেট শিকার করেছেন। গত সোমবার ৪২তম জন্মবার্ষিকী পালন করা সায়মান আনোয়ার সেখানে ৪১ ওয়ানডে ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ১১ ফিফটিতে ১২১৯ এবং ৩২ টি-২০ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ৬ ফিফটিতে করেছেন ৯৭১ রান।
তবে অভিবাসী এই দুই ক্রিকেটার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেটকে কলংকিত করেছেন।২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি কোয়ালিফাইং ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল বেশ কিছুদিন আগে। আইসিরি এন্টি করাপশন ইউনিট সেই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়ায় এই দুই ক্রিকেটারকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।
আইসিসি অফিসিয়াল আলেক্স মার্শাল এক বিবৃতিতে দিয়েছেন এই তথ্য-‘মোহাম্মদ নাভিদ এবং শাইমান আনোয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে খেলেছেন। নাভেদ অধিনায়ক এবং সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। আনোয়ার ওপেনার। দুজনেই দীর্ঘ দিন ধরে খেলছেন।জুয়াড়িদের ব্যাপারে ওঁরা অবহিত। এরপরেও ওঁরা যে দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত তা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেট এবং তাদের সতীর্থদের প্রতি অবমাননার সামিল। নিরপেক্ষ কমিটি যে এই শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতে যাঁরা বিপথগামী হতে চাইবে, এই শাস্তি তাঁদের কাছে একটা সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে।’
আইসিসি-র এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে-ক্রিকেটে যাতে দূর্নীতি জায়গা না পায়, তার জন্য আমরা বরাবরই সচেষ্ট। আইসিসি-র এই সিদ্ধান্তে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’