মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
বুধবার ( ১৭ মার্চ ) হইতে তাদের আগমন উপলক্ষে আগামী ১০ দিন ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তাদের বাংলাদেশে আসা, থাকা, এক স্থান থেকে আরেক স্থানে আসা যাওয়ার সময় নিরাপত্তায় যেন কোনও ফাঁক না থাকে এ ব্যাপারে পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নিরাপত্তা দায়িত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফোর্স ও কর্মকর্তাদের কার কী ভূমিকা থাকবে এ ব্যাপারে সবিস্তারে গাইডলাইন দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে গত ১১ মার্চ আইজিপি তার দফতরে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রোববার সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়েছেন লিখিত নির্দেশনা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সূত্র জানিয়েছে, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের বাংলাদেশ সফরকালীন সুনির্দিষ্ট কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি বা সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা নেই। তারপরও রাষ্ট্রীয় অতিথিদের সফর উপলক্ষে নিরাপত্তা হুমকি পর্যালোচনা অব্যাহত রাখবে পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিরাপত্তায় কোনও নতুন পর্যবেক্ষণ থাকলে তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সকে তাৎক্ষণিক অবহিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বাংলাদেশ সফর ঘিরে কোনও ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অতিথি, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান সম্পর্কে উস্কানিমূলক পোস্ট, ছবি, বিরূপ মন্তব্য ও গুজব ছড়াতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী গোষ্ঠী, ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠনের কর্মকাণ্ডে কঠোর নজরদারিতে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় অতিথিগণ ও তাদের সফরসঙ্গীদের আগমন বহির্গমন নির্বিঘ্ন করতে এয়ারপোর্ট এপিবিএন, প্রটেকশন বিভাগ, ডিএমপি ও এসবির সমন্বয়ে বিমানবন্দরে একটি কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক স্থাপন করতে বলা হয়েছে।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, বিদেশি অতিথিদের নিয়ে আসা বিমান বাংলাদেশের আকাশসীমায় পৌঁছামাত্র হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আধাঘণ্টা সব ধরনের বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি নিরাপত্তায় যেন কোনও ফাঁক না থাকে এজন্য বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রানওয়েতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মীদের সেইদিন ডিউটি বন্ধ থাকবে।