নিউ ইয়র্ক ডেমোক্রেট গভর্নর এ্যান্ড্রু কুমোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানী অভিযোগ এনে ৩০ জন নারীর একটি গ্রুপ বলছে, তারা তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এধরনের নাজেহাল এমনকি ধর্ষণের মুখোমুখি পড়েছিলেন। এদের একজন রিপোর্টার জেসিকা বেকম্যান তার শরীরে কুমোর অনাকাঙ্খিত স্পর্শের কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন। কুমোর বিরুদ্ধে আরেক নারী অভিযোগ তুলে বলেন, গভর্নর তাকে একাধিকবার শুধু যৌন হয়রানি করেই ছাড়েননি, তার সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ ও অবমাননাকর মন্তব্যও করেছেন। খবর-ডেইলি মেইল, আরটি, স্পুটনিক
কুমোর বিরুদ্ধে চতুর্থ অভিযোগ আনেন ৩৫ বছরের এ্যানা লিসা যিনি ওই ঘটনার পর প্রচণ্ড হতাশ হয়ে আত্মহত্যা এড়াতে সুইসাইড হটলাইনের সহায়তা নিতে বাধ্য হন। কুমো তাকে জড়িয়ে ‘সুইট হার্ট’ বলে শরীরের পিছনের অংশ খামচে ধরেছিলেন। আইনপ্রণেতা আলেসান্দ্রা বিয়াগি দাবি করেন কুমো তার প্রেমিকের সামনেই দুইবার চুমু খান এবং তার প্রেমিককে জিজ্ঞেস করেন তিনি ঈর্ষান্বিত বোধ করছেন কী না। বেশকয়েকজন নারী নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনকে বলেন তারা কুমোর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর আচরণ ও পরিবেশের মধ্যে পড়েন। এদের অনেকে যৌন হয়রানির বিস্তারিত বিবরণ দেন।
কয়েকজন নারী আরও জানান, তারা তাদের পরিবারে প্রথমবার মানসিক অবসাদ ও তীব্র মানসিক কষ্টে ভুগতে বাধ্য হয়েছেন। এবং এ জন্যে তাদের সঙ্গে কুমোর আচরণ দায়ী। কুমোর বক্তব্য প্রথম যে কৃষ্ণাঙ্গ নারী লিখেছিলেন সেই ক্যামোংহে ফেলিক্স বলেন, আমি বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কোটা পূরণের জন্যে কুমো আমাকে কাজের সুযোগ দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তহবিল গড়তে চাওয়ার পর কেইটলিন নামে এক নারী জানান প্রথম দর্শনেই কুমো আমাকে নাচের ভঙ্গিমায় জড়িয়ে ধরে ছবি তোলেন, আমি চরম বিব্রত বোধ করি। কুমোর একসময়ের সহকর্মী শার্লোট বেনেট বলেন কুমো আমার সঙ্গে ঘুমাতে চেয়েছিলেন।