নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দরাপপুর গ্রামের মাদকের টাকা না পেয়ে ভাবিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আহসান উল্যাহ হাসান (২৩) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে আরো ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আহসান উল্যাহ হাসান বেগমগঞ্জ উপজেলার দরাপপুর গ্রামের করিম উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ির মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদকের টাকা না পেয়ে গত ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিউলি আক্তারকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হাসান। পরে নিহতের মেয়ের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে হাসানকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা আবুল হাসেম বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হাসানকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এড. গুলজার আহমেদ জুয়েল ও আসামি পক্ষের স্টেট ডিফেন্স ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. নাজিমুর রশিদ।
পিপি গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, বেগমগঞ্জ থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান পাঠান দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এবং গ্রেফাতরকৃত আসামিরপক্ষে কোনো আইনজীবী নিযুক্ত না করায় তার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিযুক্ত করেন। নিযুক্ত স্টেট ডিফেন্স প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষীদের জেরা করেন।
আসামির বাবা বাড়ির জন্য জমি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়া, শিউলি আক্তার বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং তার বয়স বিবেচনা করে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।