পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের স্কোয়াড নির্বাচন নিয়ে সাবেক ক্রিকেটারদের অসন্তোষের দেখা মেলে প্রায় নিয়মিতই। এবার সে তালিকায় যোগ হলেন এখনও খেলে যাওয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কামরান আকমল। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডের ব্যাপারে নির্বাচকদের এক হাত নিয়েছেন কামরান।
তার মতে, টেস্ট ক্রিকেটের জন্য পাকিস্তানের ছয় নম্বর পজিশনে সেরা ব্যাটসম্যান উসমান সালাউদ্দিন। কিন্তু তাকে বিবেচনায় নেননি নির্বাচকরা। এছাড়া সবশেষ কায়েদ-এ-আজম ট্রফির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কামরান গুলামকেও দলে না নেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন কামরান আকমল।
টেস্টে ছয় নম্বরের জন্য সেরা ব্যাটসম্যানের খোঁজ দিয়ে কামরান বলেছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে গত দুই বছর ধরে পারফর্ম করছে উসমান সালাউদ্দিন। টেস্টে তিন পেসার ও এক স্পিনার নিয়ে খেললে, সে-ই ছয় নম্বরের জন্য আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। তাকে অবশ্যই একটা সুযোগ দেওয়া উচিত।’
এসময় তিনি তুলে ধরেন কামরান গুলামের নাম। যিনি পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কায়েদ-এ-আজম ট্রফির সবশেষ আসরে ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। টুর্নামেন্টের ১১ ম্যাচের ২০ ইনিংসে পাঁচ সেঞ্চুরির সঙ্গে পাঁচ ফিফটিতে ১২৪৯ রান করেছিলেন কামরান গুলাম। অথচ তাকে দলে নেয়নি নির্বাচকরা।
এ বিষয়ে কামরান আকমল বলেছেন, ‘কামরান গুলামের দোষটা কী? নির্বাচকরা বলে যে, তারা ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দল সাজিয়েছে। যদি কামরান সেরা ২০ জনের মধ্যে না আসে, তাহলে কে আসবে? যাদেরকে নেওয়া হয়েছে, তারা দুইটা বাউন্সার মোকাবিলা করেই নিজেদের উইকেট হারিয়ে বসে। অথচ আসরে সর্বোচ্চ রান করেও কামরান এই দলের অংশ নয়।’
দল নির্বাচনের এই সমস্যা সমাধানে ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি ও প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কামরান আকমল। প্রতি সিরিজের দল নির্বাচনের সময় নির্বাচকদের জবাবদিহির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তার ভাষ্য, ‘পিসিবি চেয়ারম্যান এবং ওয়াসিম খানের এ বিষয়টি ভালোভাবে দেখা উচিত। চেয়ারম্যানের সম্মতি ছাড়া প্রধান নির্বাচক কোনো দল ঘোষণা করতে পারেন না। তাদের (চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী) উচিত নির্বাচককে জিজ্ঞেস করা, কিসের ভিত্তিতে কোন খেলোয়াড়কে নেওয়া হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেট বাদ দিয়ে পিএসএল পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দল সাজানো হচ্ছে গত ৪ বছর ধরে।’