টটেনহাম হটস্পার্সের বিপক্ষে নর্থ লন্ডন ডার্বিতে ঘরের মাঠে ম্যাচের ৩৩ মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। তবে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ধারে খেলতে যাওয়া মার্টিন ওডেগার্ডের সমতায় ফেরানোর পর আলেক্সান্ডার লাকাজেথের স্পট কিক থেকে করা গোলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গানার্সরা।
আইন ভঙ্গ করে নর্থ লন্ডন ডার্বিতে নিষিদ্ধ ছিলেন আর্সেনালের আক্রমণভাগের প্রধান হাতিয়ার পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। তবে তাতে কি? শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গানার্সরা।
রোববার এমিরেটসে ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে গোছালো আক্রমণে এগিয়ে যায়। বাঁ দিক থেকে সার্জিও রেগুলনের লম্বা ক্রস ধরে লুকাস মউরা ছোট পাস দেন লামেলাকে। সামনে থাকা ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলে এই আর্জেন্টাইনের কোনাকুনি শট দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়। এর মিনিট চারেক পর সেদ্রিক সোয়ারেসের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। অবশেষে ৪৪তম মিনিটে ওডেগার্ডের দুর্দান্ত শট স্পার্সের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়ালে সমতার স্বস্তি ফিরে আর্সেনাল শিবিরে।
এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বেশ গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে আর্সেনাল। ৬৩ মিনিটে লাকাজেথকে ডি বক্সের ভেতর ফেলে দিলে ভিএআরের সাহায্যে আর্সেনালকে পেনাল্টি দেন রেফারি। আর স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে নিতে এক চুলও ভুল করেননি এই ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার। লাকাজেথের গোলের পর অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় টটেনহাম কোচ জোসে মোরিনহোকে।
খেলার শেষ ১৫ মিনিট ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্পার্স। ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে কিয়েরন টিয়ারনিকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন মাঠ ছাড়েন এরিক লামেলা। তবে ম্যাচের শেষ দিকে স্পার্সকে সমতায় ফিরিয়ে ছিলেন হ্যারি কেইন। তবে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়ে গেলে ওই ২-১ ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় টটেনহামকে।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ১০ নম্বরেই রয়ে গেছে আর্সেনাল। ২৮ ম্যাচ শেষে ১২ জয়, ৫ ড্র আর ১১ হারে ৪১ পয়েন্ট আর্সেনালের। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ১৩ জয়, ৬ ড্র আর ৯ হারে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে টটেনহাম হটস্পার্স।