বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশ্বস্ত করলেও তাতে আস্থা রাখতে পারছে না ইউরোপের দেশগুলো। ইতোমধ্যেই ইউরোপের ছয়টি দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে নেদারল্যান্ডস।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো ডি জনগি বলেছেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আপাতত এই ভ্যাকসিন বর্জনই বুদ্ধিমানের কাজ।
এর আগে ‘রক্ত জমাট’ বাধার মতো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রয়োগ স্থগিতের ঘোষণা দেয় নরওয়ে, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, বুলগেরিয়া, থাইল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড।
এক বিবৃতিতে ডাচ সরকার জানিয়েছে, ডেনমার্ক ও নরওয়ে থেকে সম্ভাব্য গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর প্রকাশের পর তারা সাবধানতা অবলম্বন করছে। ডাচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো ডি জনগি বলেছেন, তার দেশ এই ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও সন্দেহ তৈরির সুযোগ দিতে পারে না। তার ভাষায়, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, সবকিছু ঠিক আছে। তাই আপাতত বিরতি দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।’
তবে শুক্রবার (১২ মার্চ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে অক্সফোর্ডের টিকা গ্রহণ করার পর কারো কারো শরীরে রক্ত জমা বাঁধছে। কিন্তু অক্সফোর্ডের টিকা নিলে মানুষের শরীরের রক্ত জমা বাঁধবে, এমন কোনো আভাস মেলেনি।
এর আগে এই ভ্যাকসিন বর্জনকারী দেশ নরওয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়া তিন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা গেছে। তাদের এখন রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তের প্লেটলেটের স্বল্প সংখ্যার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নরওয়ে ছাড়াও ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডের মতো দেশগুলোতেও এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কারও কারও শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার বিচ্ছিন্ন খবর পাওয়া গেছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিনের কারণে লোকজনের রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভারতের সেরাম ফাউন্ডেশনে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনই প্রয়োগ করা হচ্ছে।