পৃথিবীর বাইরে কোথায়ও এ পর্যন্ত মানুষের পা পড়েছে শুধু মাত্র চাঁদে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটিতে ১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই মার্কিন মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখেন। তবে বাস উপযোগী না হওয়ায় সেখানে আর বসবাসের বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, মেলেনি কোনো প্রাণেরও অস্তিত্ব। সেই গ্রহটিকেই কি-না প্রাণ রক্ষার জন্য বেছে নিতে চাচ্ছেন একদল বিজ্ঞানী!
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, যে কোনো দিন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী। এতে এ গ্রহে বাস করা প্রাণীকুলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই ওই বিজ্ঞানীরা ভাবছেন চাঁদে অন্তত ৬৭ লাখ প্রজাতির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু সংরক্ষণ করার কথা। এতে পৃথিবীতে বিপর্যয় হলেও প্রাণী রক্ষা পেতে পারে। আবার ফিরিয়ে আনা যাবে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীদের।
তবে বিজ্ঞানীদের চিন্তায় এও আছে, চাঁদ প্রাণীকুলের জন্য আদর্শ কোনো বসবাসের জায়গা হবে না। এ উপগ্রহটি শুধুমাত্র ডিম ও স্পার্ম সংরক্ষণাগার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। চন্দ্রপৃষ্টে যে ভল্টে শুক্রাণু-ডিম্বাণু রাখা হবে তারও নকশা করেছেন তারা।
চাঁদে শুক্রাণু-ডিম্বাণু রাখার এ প্রকল্পকে ‘মডার্ন গ্লোবাল ইনসিওরেন্স পলিসি’ বলে উল্লেখ করছেন বিজ্ঞানীরা। ক্রায়োজেনিক তাপমাত্রায় (-১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) চাঁদের মাটিতে রক্ষিত থাকবে এই স্পার্মব্যাঙ্ক।
সম্প্রতি আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার একদল বিজ্ঞানী প্রাণীকুলের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ প্রস্তাব করেছেন। তাদের দাবি, পৃথিবীতে বিপদের শেষ নেই, পরমাণু যুদ্ধ থেকে শুরু করে যে কোনো মহাজাগতিক কারণে ক্ষতি হতে পারে এ গ্রহের। এ ধরনের আশঙ্কা থেকেই এমন প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।