পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ‘হামলা’র কোনো ‘প্রমাণ’ মেলেনি। দুর্ঘটনাবশতই আঘাত পেয়েছেন তিনি। শনিবার নির্বাচন কমিশনের নিযুক্ত রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আনন্দবাজার অনলাইন।
কমিশনের নির্দেশে নন্দীগ্রামে মমতার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তারা। তাতে বলা হয়েছে, মমতার নিরাপত্তায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়িতেই আঘাত পান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ করার পর পড়ে গিয়ে পায়ে-কোমরে চোট পান মমতা। নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতার এসএসকেএমে হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। রানিচকের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তাকে ৪-৫ জন ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে শুক্রবার নবান্নের পক্ষে রিপোর্ট পাঠানো হয় কমিশনকে। তাতে গাড়ির দরজায় পা চাপা পড়ে মুখ্যমন্ত্রী আহত হন বলে জানান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। হামলার সম্ভাবনা খারিজ করে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসক বিভু গোয়েলও একই কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির দরজায় কেউ ধাক্কা দিয়েছে বলে প্রমাণ মেলেনি বলে কমিশনকে জানান তিনি।
কিন্তু সেই রিপোর্টে ‘যথেষ্ট তথ্য’ না থাকায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি কমিশন। তাই নিজেদের দুই পর্যবেক্ষককে আলাদা করে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়। তার জন্য শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট তৈরি করেন বিবেক ও অজয়। শনিবার নির্বাচন কমিশনে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। ওই রিপোর্টে ষড়যন্ত্র এবং পরিকল্পনা করে মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার তত্ত্ব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।