সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বিনির্মাণ ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘ থেকে যথোপযুক্ত সহায়তা চেয়েছেন বিশ্বসংস্থায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাসবাদ একটি বড় হুমকি। এটি উন্নয়ন এজেন্ডা-২০৩০ অর্জনের পথে অন্তরায়। যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সংহতি ও সব স্তরের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।
শনিবার জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশলের উচ্চ পর্যায়ের প্লেনারি সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের রয়েছে অটল রাষ্ট্রীয় নীতি।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল বাস্তবায়নে কোভিড-১৯ এর প্রভাব বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও জাতিগত বিদ্বেষের মতো সন্ত্রাসবাদের নব্য ধারার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়ার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসঙ্ঘের সদস্য দেশসমূহের মধ্যে নিবিড় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সৃষ্টি ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, বৈশ্বিক সন্ত্রাস দমন কৌশলের বাস্তবায়ন এগিয়ে নিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধ ও নির্মূল করতে সদস্য দেশগুলোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া কৌশলটির বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সদস্য দেশসমূহকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে জাতিসঙ্ঘ বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল গ্রহণ করে। বর্তমানে কৌশলটির সপ্তম দ্বিবার্ষিক পর্যালোচনা চলছে, যা আগামী জুন পর্যন্ত চলবে।