আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ আর থাকবে না। রাজউকের অনুমোদন ছাড়া কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে না। যেখানে বাণিজ্যিক সেখানে বাণিজ্যিক সংযোগ দেয়া হবে, এর বাইরে দেওয়া হবে না। আগে যেগুলো অবৈধভাবে সংযোগ নিয়েছে সেগুলো বিচ্ছিন্ন করা হবে। এই কাজ শুরুও হয়েছে, তবে অনেকে মামলা দিয়ে আটকে দিয়েছে।
শনিবার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘রাজধানীতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ভূগর্ভস্থ বিতরণ লাইন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এ সময় ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ডেসকো বলছে নির্মাণ কাজে তাদের লাইন কাটা যাচ্ছে। ডিজাইন দিচ্ছেন, যদি দেখে সেখানে লাইন নেই। অন্য জায়গায় লাইন। যথাযথ নকশা থাকা উচিত। রাজউকের অনুমোদন ছাড়া কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে না।
গ্রাহকসেবাকে কত উন্নত করা যায়, কত সাশ্রয়ী খরচে দেওয়া যায়- সে বিষয়ে কাজ চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত সরকার অপরিকল্পিত কাজ করেছে। ভুক্তভোগী আমরা। অপরিকল্পিত ওয়েতে (পন্থায়) উন্নয়ন হলে বিদ্যুৎ দেওয়া খুবই কঠিন। বারিধারা এলাকায় জোর করে হোটেল করেছে। ঢাকা শহরে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে দোকান নেই। রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় হোটেল করে লাইন চাচ্ছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্লান করা হলেও কাজ হবে না। সবার আগে আমাদেরকে আইন মানতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাত দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে হবে। আমরা বলছি ৭ দিন, ২১ দিন। কিন্তু এইটা ঠিকমতো হচ্ছে না।
তিনি বলেন, শিল্পে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বিল বকেয়া। লাইন কাটতে গেলে বলেন কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হবে। বিল দিতে পারেন না, কী প্লান করলেন? বিদ্যুৎ বিল না দিয়ে সেই শিল্প চালাব কেমনে। বিল না পেলে সংস্থাগুলো চলবে কী করে?
এ সময় প্রতিমন্ত্রী দোকান মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মার্কেট ৮টার পরও খোলা। আপনাদের একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসতে হবে। আপনাদেরকে সজাগ হতে হবে। রাজউকের অনুমোদন ছাড়া দোকান না করার কথা বলেন নসরুল হামিদ।