কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া রাজ্যে গেল বছর প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে পুরো কানাডায় এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সময়ের সঙ্গে দেশটিতে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯ লাখের বেশি মানুষ। আর মৃত্যুর সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন ধরন।
করোনার নতুন ধরনের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এ ধরনটি সহজেই সংক্রমণে সক্ষম এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে গুরুতর অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। যে কারণে কানাডায় এটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বরফাচ্ছন্ন কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ বছরের এ সময়টিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আর পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে। কিন্তু করোনার কারণে গত একবছরে তা আর লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। নতুন ভাইরাসটি সারা বিশ্বের মতো কানাডাকেও থমকে দিয়েছে।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় কানাডা ডে (কানাডার জাতীয় দিবস) উপলক্ষে সিটি পরিচালিত ও অনুমোদিত সব ধরনের আউটডোর অনুষ্ঠান বাতিল করেছে টরন্টো কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন টরন্টো মেয়র জন টরি।
নগরীতে রিপ্রোডাক্টিভ নাম্বার বেড়ে ১ দশমিক ১ এ হওয়ার তথ্য দিয়েছেন টরন্টো জনস্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. এইলিন দ্য ভিলা। যদিও গত সপ্তাহে এটি ছিল দশমিক শূন্য ৮। ডা. এইলিন দ্য ভিলা রিপ্রোডাক্টিভ নাম্বার হঠাৎ বেড়ে যাওয়াকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন। তার এ মন্তব্যের পরই অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।
দেশটির সরকারের আরোপ করা বিধিনিষেধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সত্ত্বেও করোনার নতুন এ ধরন দেশটির সরকার ও জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। দেশটিতে এখনও জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন বিধিনিষেধ বহাল রয়েছে। গত বছর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৩ হাজার ২৩৩ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২২ হাজার ৪০৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৫০ হাজার ৪৮ জন।