যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য কূটনীতিক পর্যায়ের বৈঠকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিংজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চালানো ‘গণহত্যা’ নিয়ে আলোচনা করবে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে চীনাদের সাথে আলোচনায় উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যা একটি বিষয় হিসেবে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চীনাদের ওপর আরো চাপ প্রয়োগে অপর অংশীদারদের সাথে কাজ করার সুযোগ সন্ধান করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান আগামী ১৮ মার্চ আলাস্কায় চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কেন্দ্রীয় কমিশনের পরিচালক ইয়াঙ জিয়েছি ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়াঙ ইয়ের সাথে বৈঠকে মিলিত হবেন।
বৃহত্তর তুর্কি জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত উইঘুর সম্প্রদায়ের মূল আবাসভূমি চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিংজিয়াং অঞ্চল। এক কোটি লোক সংখ্যা নিয়ে এই জনগোষ্ঠী অঞ্চলটির মোট জনসংখ্যার ৪৫ ভাগ দখল করে আসছে। মুসলিম এই জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চীনা সরকারের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও দমনমূলক পদক্ষেপের বিভিন্ন সময়ই অভিযোগ করা হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের মতে, দমনমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জিংজিয়াংয়ের অন্তত ১০ লাখ উইঘুর বাসিন্দাকে চীন বন্দী শিবিরে আটকে রেখেছে। অবশ্য চীন এই অভিযোগকে অস্বীকার করে বলছে, ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ’ মোকাবেলায় তারা এই অঞ্চলের মানুষদের ‘কারিগরি প্রশিক্ষণ’ দেয়ার অংশ হিসেবে এই কেন্দ্রগুলো চালু করেছে।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক