নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের হামলায় আহত হওয়ার দুই দিন পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তাকে রিলিজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য শুক্রবার ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ড মমতার সবশেষ অবস্থান বিবেচনা করে তাকে রিলিজ করে।
এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বারবার তিনি ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। চিকিৎসায় তিনি সাড়া দিয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে বাড়ি ফিরে তাকে সব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। নিয়ম মেনে তিনি চলাফেরা করতে পারবেন।’
হাসপাতাল সূত্রের বরাতে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আহত মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাঁ পায়ে প্লাস্টার করা হয়েছিল। শুক্রবার প্লাস্টার কেটে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের ফোলা কমেছে। আজ নতুন করে তার পায়ে আবার প্লাস্টার করা হয়।
এরপর দুপুরেই বাড়ি ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মমতা। চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসকরাও জানান যে, এখন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার মতো অবস্থায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসকদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরপরই এসএসকেএম থেকে মমতার বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি শুরু হয়। চিকিৎসকদের মতে, বাড়িতে রেখেও ২-৩ দিন তার চিকিৎসা করা যায়। বাড়িতে কীভাবে থাকতে হবে, তা তাকে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কিছুদিন মমতাকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হবে। হাসপাতাল সূত্রের বরাতে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে নতুন চটি ও হুইল চেয়ারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘আমি তো চটি পরি, আমি চটিই পরব।’
আগামী ২৭ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভোটগ্রহণ শুরু হবে। তার আগমুহূর্তে গত বুধবার নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে আহত হন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এরপর আহত মমতাকে দ্রুত কলকাতায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
মমতার আহত হওয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নানা রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে। কোনো কোনো রাজনীতিবিদ যেমন তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন, তেমনই অনেকে বিষয়টিকে ‘নাটক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা বলছেন কেউ কেউ।