পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জীব বৈচিত্র রক্ষার্থে দ্বীপে পর্যটক ভ্রমণ সীমিত করা হবে। সেই লক্ষ্যে পরিবেশগত অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সরকার একটি কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করা হবে।
শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুরে সেন্টমার্টিন ভ্রমন শেষে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, দ্বীপের ভাঙ্গন রোধে, বেড়িবাধঁ নির্মাণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ব্যতিত সিদ্ধান্ত নেয়া যাবেনা। দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সুরক্ষা এবং টেকসই পর্যটন উন্নয়নে সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। দ্বীপ রক্ষার দায়িত্ব সবার, সুতরাং দ্বীপের ক্ষতি হয় এমন কর্মকান্ড থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।
এ সময় দ্বীপের বিভিন্ন সমস্যা বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন মন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা: এ কে এম রফিক আহমদ, পরিচালক পরিকল্পনা ও সেন্টমার্টিন পকল্পের পরিচালক মো. সোলাইমান হায়দার, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন মামুন উর রশীদ, জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী, সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার সাদ মোহাম্মদ তাইম, সেন্টমার্টিন বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আসাদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ প্রমুখ।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সেন্টমার্টিনে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘প্রতিবেশগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ প্রকল্প’ এর অধিনে বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন। শেষে নারিকেল চারা রোপনসহ জীববৈচিত্র জাদুঘর পরির্দশন ও সমুদ্রে কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করেন।
এর আগে সকালে মন্ত্রী ও প্রতিনিধি দলের সদস্যরা টেকনাফ পৌরসভাস্থ বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাট দিয়ে কোস্টগার্ডের মেটাল সার্ক জাহাজ যোগে সেন্টমার্টিন পৌঁছান।