spot_img

স্বাধীনতা দিবসের দিন করোনামুক্তি উৎসব হবে যুক্তরাষ্ট্রে: বাইডেন

অবশ্যই পরুন

আগামী ১ মে’র মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে করোনা টিকার আওতায় আনা গেলে চলতি বছর ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে করোনামুক্তি উৎসব পালন করবে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এক ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পঞ্চাশতম দিন পেরোনো উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় ১ মের মধ্যে যদি সব প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেয়া সম্ভব হয়, তা হলে ৪ জুলাই আপনারা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির লনে বসে স্বাধীনতার উৎসব করবেন। এটা শুধু দেশের স্বাধীনতা উৎসবই হবে না, কোরনামুক্তি বা কোভিড-স্বাধীনতা উৎসবও হবে।’

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে সবচেয়ে পর্যুদস্ত অবস্থায় আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায় তিন কোটি এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭২১ জন।

বাইডেন বলেন, ‘আমরা যখন আমাদের ২০১৯ সালের ছবিগুলো দেখি, এটা মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক— তখন আমরা অন্য কোনও সময়ে ছিলাম। মনে হতেই পারে, সে বছর আমরা সর্বশেষ ছুটি কাটিয়েছি, বন্ধুদের সঙ্গে সর্বশেষ জন্মদিন উদযাপন করেছি, পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের সঙ্গে সর্বশেষ আনন্দঘন সময় কাটিয়েছি।’

‘এর প্রধান কারণ, আমরা সতর্ক ছিলাম না। অন্যান্য দেশগুলো যখন করোনা প্রতিরোধে বিধিনিষেধ আরোপ করছে, তখন আমার উদাসীন থেকেছি। এই অসতর্কতা ও উদাসীনতার কারণেই এত মৃত্যু, এত সংক্রমণ, এত ধকল, এত একাকিত্ব আমাদের দেখতে হচ্ছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্যের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে আগামী ১ মের মধ্যে টিকার আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এ কাজে আরও বেশি জনবল যুক্ত করা হবে জানিয়েছেন বাইডেন। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনে টিকাদানকারী দলে চক্ষু বিশেষজ্ঞ, দন্ত চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী এবং পশু চিকিৎসকদেরও নিয়োগ করা হবে বলে উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান টিকাকেন্দ্রগুলো আবাসিক এলাকায় মানুষের বাড়িতে যাবে। তবে টিকা নেওয়ার পরপরই আগের মতো উদাসীন হওয়া চলবে না। জনগণকে মাস্ক পরতে হবে, সামজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং হাত ধুতে হবে। তবেই এই প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সম্ভব হবে।

‘আমরা এই লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে আছি। যদি সচেতন হই এবং প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ মেনে চলি, তাহলে খুব অল্পদিনের মধ্যে এই পর্যায়ও আমরা পেরিয়ে যেতে পারব।’

সূত্র: আলজাজিরা, ডিডব্লিউ

সর্বশেষ সংবাদ

মহানবী (সা.) রওজা শরিফ জিয়ারতে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা

এখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ