করোনার বিরুদ্ধে চতুর্থ কার্যকরি টিকা হিসেবে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি ইএমএ’র অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের করোনার টিকা জনসন অ্যান্ড জনসন। তবে কয়েকদিন আগে অনুমোদন পাওয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে সংকট এখনো কাটেনি। এমনকি অনুমোদনের পরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ১৪ দিনের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ স্থগিত করেছে ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ড।
গত ২৯ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেডিসিন এজেন্সি ইএমএ’র অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই ইউরোপের ২৭টি দেশসহ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতে টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার শনির দশা যেন লেগেই আছে। সবশেষে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও আইসল্যান্ডে টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে রক্তনালীতে জমাট বাধাসহ এক নারীর মৃতুতে আগামী ১৪ দিনের জন্য এ টিকা গ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে দেশগুলোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যদিও ব্রিটেনের ওষধ এবং স্বাস্থ্য দ্রব্য উৎপাদন রেগুলেটরি এজেন্সি UK, the Medicines and Healthcare products Regulatory Agency স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোর সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলছে।
সংস্থাটির মুখপাত্র ফিল ব্রায়ান বলেন, মানবদেহে যে কোন অংশে রক্ত জমাট বাধা একটা সাধারণ বিষয়, এর সাথে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি ইইউও এই টিকাটিকে নিরাপদ ও কার্যকরি ঘোষণা দিয়েছে। যদিও কিছুদিন আগে অস্ট্রিয়াতে ৪৯ বয়সী এক নারীও অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণের পর রক্তজমাট বাধার কারণে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্যবিভাগ। এই অবস্থায় স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোর সরকারের এমন সিদ্ধান্তে শংকিত দেশগুলোর সাধারণ জনগণসহ প্রবাসীরা।
ডেনমার্ক প্রবাসী এক ব্যক্তি জানান, অ্যাস্ট্র্যাজেনেকার এমন সংকটে করোনার চতুর্থ টিকা হিসেবে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির রোলিং রিভিউতে পাস মার্ক পেয়ে অনুমোদন পেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়ামের ওষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিডের টিকা ad26.cov2.S। যে টিকা মানবদেহে যে কোন ধরনের করোনাকে রুখে দিয়ে খুবই স্বল্প সময়ে তৈরি করবে এন্টিবডি।
ইইউর অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টিকা গ্রহণের তালিকায় আছে জার্মানির বায়োএনটেক ও ফাইজারের টিকা, মডার্নার MRNA 1273, সবার শেষে আছে অ্যাস্ট্রেজেনেকার AZD1222।