কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকা ক্যান্টনম্যান্টের ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড কার্যালয়ে এ স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবু তাহের ও সেনাবাহিনীর পক্ষে এ প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আলী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, সেনাবাহিনীর চীফ ইন ইঞ্জিনিয়ার ইবনে ফজল শায়খুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, রেজিস্ট্রার ড. আবু তাহের, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শামিমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবু তাহের জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগা প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোগত কাজসমূহ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সম্পাদনের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এ দিকে, কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী দৈনিক অধিকারকে বলেন, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সাথে আমাদের আজকে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। সেনাবাহিনী খুব দ্রুতই প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান সম্পন্ন করে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করবে। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী আগামী ১৬ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাজ শুরু করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে, ২০০ একর নতুন ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন (১০০ একর), চারটি দশ তলা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ, একটি ছয় তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, ছাত্রদের জন্য দুইটি দশ তলা আবাসিক হল, ছাত্রীদের জন্য দুইটি দশতলা আবাসিক হল, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষকদের জন্য একটি দশ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ, একটি দশ তলা ডরমেটরি ভবন নির্মাণ, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র, তিন তলা কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, মেডিকেল সেন্টার নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, লেক খননসহ বেশ কয়েকটি কার্যক্রম। ২০২৩ সালের জুনে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।