করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে চীনা ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হবে বলে মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়েছে মেক্সিকো। তবে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে তারা বিশদ কোনও তথ্য দেয়নি।
মেক্সিকোর বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক মার্সেলো ইবারার্ড বলেছেন, মেক্সিকান সরকার এখনও অনুমোদন না পাওয়া সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের সাথে করা আগের চুক্তি পরিবর্তন করে তাদের ভ্যাকসিনের আরও ২ কোটি ডোজ বাড়তি চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে, সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে শুরু করেছে এবং জুলাইয়ের মধ্যে তারা সম্পূর্ণ ২ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিনোফার্ম তাদের ভ্যাকসিনগুলো মার্চ থেকে জুনের মধ্যে সরবরাহ করবে।
দুই প্রতিষ্ঠানের ৩ কোটি ২০ লাখ ডোজের সাথে চীনেরই আরেক প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো থেকে আরও ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে মেক্সিকো। এছাড়া আরও ৫০ লাখ ডোজ অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে, ইবার্ডের অফিস বারবার চীনা শটগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছে।
সিনোফর্ম দাবি করেছে যে, ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলোর অন্তর্বর্তী ডেটার ভিত্তিতে তাদের ভ্যাকসিনটি ৭৯ শতাংশ কার্যকর ছিল। তবে অন্যান্য চীনা সংস্থাগুলোর মতো তারাও ক্লিনিকাল ট্রায়াল ডেটা প্রকাশ্যে সরবরাহ করেনি। হংকংয়ের বিশেষজ্ঞরা সিনোভাক ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রায় ৫১ শতাংশ বলে জানিয়েছেন। এই ভ্যাকসিনটি ইতিমধ্যে মেক্সিকোয় ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। ক্যানসিনো ভ্যাকসিনটিও মেক্সিকোতে অনুমোদিত হয়েছে এবং এর কার্যকরীতার হার প্রায় ৬৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ইতিমধ্যে বিশ্বে ২৫ টিরও বেশি দেশে চীনা ভ্যাকসিনগুলো দিয়ে টিকা দেয়া শুরু করেছে।
সূত্র: ফক্স ১৩।