মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে নিয়ে যেদিন হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন তার চারদিন পর তাদের পোষা দুই জার্মান শেফার্ডকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এক সিকিউরিটি এজেন্টকে কামড়ানোর পর কুকুর দুটিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন।
পোষা দুই কুকুরের মধ্যে বড়টির নাম চ্যাম্প এবং ছোটটির নাম মেজর। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হোয়াইট হাউসে ওঠার পর থেকেই মেজরের মাথা বিগড়ে যায়। যাকে পায় তাকেই কামড়াতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামলাতে কুকুর দুটিকে ডেলওয়ার অঙ্গরাজ্যে বাইডেনের পারিবারিক বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন দুটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, মেজরের বয়স তিন বছর। ২০১৮ সালে ডেলওয়ারের একটি প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে কুকুরটি নিয়ে আসেন বাইডেন। এছাড়া চ্যাম্প নামে বড় কুকুরটির বয়স এখন ১৩ বছর। বয়স বাড়ার কারণে এই কুকুরটি অতটা আক্রমণাত্মক নয় এবং ধীর হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, ‘মেজর’ আক্রমণাত্মক আচরণ করছিল। হোয়াইট হাউসের কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর যখন তখন ঝাঁপিয়ে পড়তো। ঘেউ ঘেউ করে গর্জনের মাধ্যমে তাদের কামড়ানোর চেষ্টা করতো সবসময়। যাতে করে কাজে বিঘ্ন ঘটছিল।
হোয়াইট হাউসে আক্রমণাত্মক মেজর যে নিরাপত্তাকর্মীকে কামড় দিয়েছিল তার নাম জানানো হয়নি। তবে মেজরের কারণে হোয়াইট হাউসের ওই নিরাপত্তকর্মী গুরুতর আহত ও জখম হয়েছিল। আর এ কারণেই তাৎক্ষণিকভাবে কুকুর দুটিকে বাইডেনের পারিবারিক বাড়িতে পাঠানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে সিএনএন চ্যাম্প ও মেজরকে হোয়াইট হাউস থেকে বিতাড়িত করার খবর জানালেও বিষয়টি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও হোয়াইট হাউস থেকে এর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।