ব্রাজিলে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যকর। ব্রিটেনের চিকিৎসা সাময়িকী নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সম্প্রতি ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের অতি উচ্চমাত্রার সংক্রামক ধরন শনাক্ত হয়েছে। বৈজ্ঞানিক ভাবে এর নাম পি.১ হলেও চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের কাছে এটি পরিচিতি পেয়েছে ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট বা ব্রাজিল ধরন নামে।
সম্প্রতি এই ধরনটির ওপর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যকর হবে কিনা তা পরীক্ষা করেছেন ফাইজার ও বায়োএনটেক এবং যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বিভাগের বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষায় ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন এমন একাধিক ব্যক্তির রক্তের নমুনায় ব্রাজিল ধরনটি কতখানি সক্রিয় হতে পারে— তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রচলিত ধরনটির বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা যেমন ছিল, ব্রাজিল ধরনটির বিরুদ্ধেও তার কার্যকারিতা তেমনই; অর্থাৎ, যারা ইতোমধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন, তাদের এই ভাইরাসের মাধ্যমে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে গবেষকদলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা আরো বিস্তৃত আকারে মাঠ পর্যায়ে টিকাদানের মাধ্যমে বিষয়টি পরীক্ষা করতে চান। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘ব্রাজিল ধরনটির বিরুদ্ধে ফাইজারের টিকা কার্যকর, সে বিষয়টি নিশ্চিত। এখন এটি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক টিকাদানের পথে যেতে হবে আমাদের।’
করোনা ভাইরাসের সূচালো অংশগুলোই (স্পাইক) মূলত সংক্রমণ ও মৃত্যুর জন্য দায়ী। ফাইজার, মডার্না, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রভৃতি টিকাগুলোর কাজ মূলত এই স্পাইক ধ্বংস করার প্রোটিন মানবদেহে তৈরি করা।
গবেষকদলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্পাইকের গঠনগত কারনেই প্রচলিত করোনাভাইরাসের তুলনায় ব্রিটেন, সাউথ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের ধরগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা উচ্চ।
করোনাভাইরাসের ব্রিটেন ও সাউথ আফ্রিকার ধরনগুলোর বিরুদ্ধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছিল আগেই। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো ব্রাজিল ধরন।
সূত্র: রয়টার্স