নিলামে ৩ হাজার ৯৩ দশমিক ৮৫ কোটি টাকার অব্যবহৃত তরঙ্গ বিক্রি করল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি)। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি নিলামে অংশ নিয়ে তরঙ্গ কিনতে পারলেও পারেনি টেলিটক।
১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ এবং ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ২০ মেগাহার্টজ বিক্রির লক্ষ্যে এ নিলামের আয়োজন করে বিটিআরসি। ১৮০০ মেগাহার্টজের মধ্যে গ্রামীণফোন দশমিক ৪ মেগাহার্টজ, বাংলালিংক ৪ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ এবং রবি ২ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ পেয়েছে।
২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে বাংলালিংক ৫ মেগাহার্টজ, গ্রামীণফোন ১০ মেগাহার্টজ এবং রবি পেয়েছে ৫ মেগাহার্টজ। এনিয়ে গ্রামীণফোনের মোট তরঙ্গ দাঁড়াল ৪৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ, রবির ৪৪ মেগাহার্টজ এবং বাংলালিংকের ৪০ মেগাহার্টজ।
সোমবার (৮ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বেলা ১১টার দিকে বিটিআরসির নিলাম কার্যক্রম শুরু হয়। চলে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। নিলাম কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার প্রমুখ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আপনারা শুনেছেন যে, ১৫ বছরের মেয়াদে নিলামের তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রাথমিকভাবে ১৫ বছরের জন্য দিতে পারবো না। তার কারণ হলো তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ আছে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। অতএব প্রাথমিকভাবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আমরা তাদেরকে তরঙ্গটা দিবো। পরবর্তীকালে যখন তাদের লাইসেন্স রিনিউ হবে তখন এ দামেই বাকি তরঙ্গ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তরঙ্গ মোট নিলাম হয়েছে ২ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। এর সঙ্গে ভ্যাট যোগ যোগ হবে ২১৫ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা। টোটাল হবে ৩,০৯৩ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা।
স্বাগত বক্তব্য দেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী এ কে এম শাহীদুজ্জামান। নিলাম কার্যক্রমের অনুষ্ঠানে মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। এর আগে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।