করোনার প্রভাবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ভেন্যুর পরিবর্তন আনা হয়েছে। লর্ডসে নয় ভারত-নিউজিল্যান্ডের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সাউদাম্পটনে।
লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ক্যানভাসে খেলার বাসনা থাকে সব ক্রিকেটারের লালিত স্বপ্ন। ১৩৭ বছরের ইতিহাসে লর্ডস অনেক কিছুরই সাক্ষী। ক্রিকেটের জনক দেশ ইংল্যান্ডে আসর আয়োজন মানেই লর্ডসে ফাইনাল। টি-টোয়েন্টি এই যুগে প্রাচীন ক্রিকেটের ঐতিহ্য টেস্ট ক্রিকেটকে আধুনিক ক্রিকেটের নব যৌবনে ফেরাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফর্মূলা আবিস্কার করে আইসিসি। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হবার কথা সবার প্রিয় ক্রিকেট ক্যানভাস লর্ডসে। কিন্তু, বহুল কাঙ্খিত স্টেডিয়াম লর্ডসে হচ্ছে না ভারত-নিউজিল্যান্ডের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। হয়তো এ খবরে লর্ডসের উইকেট থেকে গ্যালারি, ড্রেসিং রুম মাটি কিংবা খাস এ সবই নীরবে কাঁদবে। কিন্তু, করোনার কঠিন বাস্তবতায় আইসিসিকে নিতেই হয়েছে সর্বোচ্চ সর্তক সিদ্ধান্ত।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বপ্নীল লর্ডসে হবে না ব্যাপারটি জন্য দায়ী আর কেউই নয়। অদৃশ্য শক্র করোনাভাইরাস। তার অন্যতম কারণ লন্ডন শহর এমনিতেই জনবহুল। তার ওপর টিম হোটেল কয়েক কিলোমিটার দূরে। কিন্তু, সাউদাম্পটনের এজেস বোল স্টেডিয়ামে ফাইনাল সড়িয়ে নেয়ার অন্যতম যুক্তি হলো। ঐ যে দেখছেন গ্যালরির সাথে উচ্চু বিল্ডিংটি হলো টিম হোটেল হিল্টন। এখানেই থাকবেন কোহলি উইলিযামসনরা।
যেহেতু আইসিসি’র ইভেন্ট তাই করোনা মাঝে দুই দলের ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ সুরক্ষা দিতে সর্তক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রতা সংস্থা। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের কঠিন বায়োবাবলে বন্ধী থাকতে হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। আর এ জন্য জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে ২৬ তারখি পর্যন্ত সাউদাম্পটনের পুরো স্টেডিয়াম থাকবে আইসিসি’র জৈব সুরক্ষা বলয়ে।