মিয়ানমারে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে সোমবার (৮ মার্চ) আরও দুই জন নিহত হয়েছেন। গণবিক্ষোভের অংশ হিসেবে দেশটির প্রধান শহর ইয়াংগুনে দোকান, কারখানা ও ব্যাংক বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সোমবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে, ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মিতকিনার রাস্তায় দুই জন পড়ে রয়েছেন।
মরদেহ দুটি সরাতে সহযোগিতা করেছেন এমন এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থাটিকে বলেছেন, মাথায় গুলি লাগায় দুই বিক্ষোভকারী ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এছাড়াও, আরও তিন জন আহত হয়েছেন।
২০ বছর বয়সী এই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের মরদেহ সরিয়েছেন। দুইজনকে মাথায় গুলি করা হয় এবং তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এছাড়া পুলিশের গুলিতে আরও তিনজন আহত হয়েছে।
গত মাসের ১ তারিখে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে দেশের ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তার কয়েকদিন পর থেকেই সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামে দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এদিকে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সামরিক সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে দেশটিতে অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
ইয়াঙ্গুনের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, শহরের সামান্য কিছু চায়ের দোকান খোলা আছে। বড় বড় শপিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বিভিন্ন কারখানায় কোনো কাজ হচ্ছে না। সোমবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা আগের দিন ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে।