গত জাতীয় লিগে সতীর্থের গায়ে হাত তুলে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন শাহাদাত হোসেন। পাঁচ বছরের মধ্যে শেষ দুই বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু ১৬ মাস না যেতেই গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিসিবির কাছে শাস্তি কমানোর আবেদন করেছিলেন এই পেসার। অবশেষে সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শীঘ্রই মুক্তি পেতে পারেন শাহাদাত।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছেন, শাহাদাতের শাস্তি কমাতে ডিসিপ্লিনারী কমিটির কাছে আবেদন করা হবে। মূলত এই পেসারের মায়ের অসুস্থতার কথা ভেবেই এই আবেদন করবে বোর্ড।
আকরাম বলেন, ‘এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। ডিসিপ্লিনারী কমিটির চেয়ারম্যান যিনি আছেন তাকে এই প্রস্তাবটা দেব যেন ওকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। মনে হচ্ছে এটা হয়ে যাবে। যেহেতু ওর মা অসুস্থ এবং চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। আশা করছি শাস্তি উঠে গেলেই ক্রিকেটে ফিরতে পারবে শাহাদাত।’
ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন শাহাদাতের। জাতীয় লিগে খেলে মায়ের চিকিৎসা করাতে চান তিনি। এখন পর্যন্ত বিসিবির তরফ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই পেসার।
শাহাদাত বলেন, ‘বিসিবি আমাকে অনেক সাহায্য করছে। আমি সিইও স্যার, আকরাম ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেক কথা হয়েছে। হয়তো তারা আমাকে শেষ একটা সুযোগ দিচ্ছে। আমি এতোটুকু নিশ্চিত করতে পারি যে ভবিষ্যতে এমন কিছু আর হবে না’
‘বিশেষ করে ক্রিকেট বোর্ড, বোর্ড প্রেসিডেন্ট, কোয়াবের প্রেসিডেন্ট, মল্লিক ভাই সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ওনারা সবাই আমাকে অনেক হেল্প করছেন। আমাকে সুযোগ করে দিলে হয়তো জাতীয় লিগ খেলেই মায়ের চিকিৎসা করাতে পারব’ আরও যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩৮টি টেস্ট, ৫১টি ওয়ানডে ও ৬টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শাহাদাত। তবে ২০১৫ সালের মে মাসের পর জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি আর কোনো ম্যাচ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের প্রথম হ্যাটট্রিকটি এই পেসারেরই। ২০০৬ সালের আগস্টে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শাহাদাত করেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই হ্যাটট্রিক।