তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শনিবার (৬ মার্চ) সকালে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এসডিসি দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে দূতাবাসের বিজয়-৭১ মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনাসভায় দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠের পর আইসিটি বিভাগ হতে প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে তুরস্কে আঙ্কারা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের কৃতি ছাত্র সৈয়দ রাশেদ হাসান চৌধুরী এবং একই ইউনিভার্সিটির সহকারী প্রভষক ড. মঈনুল আহসান গঠনমূলক বক্তৃতা প্রদান করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এসডিসি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ৭ই মার্চের ভাষনের পরই সমগ্র দেশ জুড়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করে এবং স্বাধীনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ২৫ মার্চের কালরাত্রে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তারের পর। যার পথ-পরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যূদয় ঘটে।
তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাসত্মবায়নে সকলকে দেশে-বিদেশে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে এবং আগামীর সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে ব্রতি হওয়ার আহ্বান জানান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত এবং মিশন উপ-প্রধান মোঃ রইচ হাসান সরোয়ার কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বিকেলে রাষ্ট্রদূত জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে তুরস্কে অবস্থিত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট, ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও বাঙ্গালির জাতীয় জীবনে এ দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।