যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রশাসনে ভারতীয়দের অংশগ্রহণ বাড়ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি বলেছেন, তার প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা প্রাধান্য পেয়েছেন।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তৈরি রোবট-যান ‘পারসিভিয়ারেন্স’ সম্প্রতি মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছে। এই সাফল্যের নেপথ্যেও রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী স্বাতী মোহন। লালগ্রহ মঙ্গলে রোবট-যানের গতিবিধি, দিক নির্দেশ— সব নিয়ন্ত্রণই এখন তার হাতে।
পারসিভিয়ারেন্সের সাম্প্রতিক সাফল্য নিয়ে নাসার বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল কথোপকথন চলাকালে এমন মন্তব্য করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের আধিপত্য বাড়ছে, যেমন— আপনি (স্বাতী), আমার ভাইস, আমার বক্তৃতা-লেখক।’
গত ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫০ দিনে কমপক্ষে ৫৫ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিককে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে বসিয়েছেন বাইডেন। এই নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীদের বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, মানবাধিকার বিভাগসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পদেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীরা রয়েছেন। এক্ষেত্রে অবশ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, কারণ তিনি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আর বাকিদের নিয়োগ করেছেন বাইডেন নিজে।
তবে নীরা ট্যান্ডন, যাকে হোয়াইট হাউস পরিচালনা এবং বাজেট নির্ধারণের দায়িত্বে মনোনীত করেছিলেন বাইডেন, সম্প্রতি সেই মনোনয়ন তুলে নিয়েছেন।
তার আগে বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সে সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের আধিক্য চোখে পড়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলেও তার অন্যথা হয়নি। বরং তার সময়েই প্রথম কোনও ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে জায়গা পান।
তবে মার্কিন প্রশাসনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নিয়োগে আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছেন বাইডেন।
সূত্র: আনন্দবাজার