যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ইয়োগান্ডা পিটম্যান গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে আকস্মিক হামলার হুমকির কথা জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প সমর্থকদের আক্রমণের আশঙ্কায় ক্যাপিটল হিলের আশপাশের এলাকায় সাত ফুট উঁচু নিরাপত্তা দেয়াল বহাল রাখা হয়েছে। এমনকি সেই দেয়ালের ওপর কাঁটাতারও সেঁটে দেওয়া আছে। যদিও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এমন নিরাপত্তা দেয়াল দেখে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ন্যাশনাল গার্ড, ওয়াশিংটন মেট্রো পুলিশ, ক্যাপিটল পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জোর তৎপরতা চলছে ছোট্ট ওয়াশিংটন নগরীতে। পুরো নগরী এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা আগেই প্রচার করেছে, গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে তাকে (ট্রাম্প) জালিয়াতি করে হারানো হয়েছে। ৪ মার্চ ট্রাম্প দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন। সম্পূর্ণ অমূলক ও বাস্তবতা বিবর্জিত এমন কথা শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদীরা সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনাও করেছে।
শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদীদের মধ্যে ‘ওথ কিপার্স’ ও ‘থ্রি পার্সেন্টার্স’ নামের দুটি উগ্রবাদী গ্রুপ এফবিআইয়ের কড়া নজরে রয়েছে। ট্রাম্প–সমর্থক আরেকটি উগ্রবাদী সংগঠন ‘প্রাউড বয়েজ’। এসব সংগঠনের অনেকেই গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের হামলায় যোগ দেয়। গ্রেপ্তার হওয়া অনেকেই এসব উগ্রবাদী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে এফবিআই জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক ব্যক্তিকে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে। আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা এসব উগ্রবাদী নিজেদের সংগঠিত করতে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করেছিল। প্রযুক্তি নজরদারির মাধ্যমে অধিকাংশ গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে।