এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে ইসির দায়ের করা মামলায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সাবেক চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় পিছিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এ দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় নতুন এ দিন ঠিক করেছেন আদালত।
গত বছরের ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় আলোচিত ওই মামলা করা হয়।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ডা. সাবরিনার দুই এনআইডিতে স্বামীর নাম দু’রকম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি এনআইডি থেকে অন্যটিতে বয়স কম দেখানো হয়েছে। বর্তমান তার দুটি এনআইডি-ই ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ এনে গত বছরের ২৩ জুন তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মামলায় পেনাল কোডের ১৭০/২৬৯/৪২০/৪০৬/৪৬৬/৪৭১/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এরমধ্যে একাধিক ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ জুলাই দুপুরে ডা. সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।