পঞ্চম দফায় ভাসানচরের পথে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়েছেন ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা।
বুধবার (০৩ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর ৬টি জাহাজ তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়।
রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ভাসানচরে নেওয়ার উদ্দেশে মঙ্গলবার (০২ মার্চ) রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। রাতে তারা চট্টগ্রামের বিএফ শাহিন কলেজ মাঠের অস্থায়ী তাঁবুতে অবস্থান করেন। সেখানেই তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
ভাসানচরগামী জাহাজে ওঠার আগে কথা হয় সৈয়দ হোসেনের সঙ্গে। চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাসানচর যাচ্ছেন তিনি। এর আগে যাওয়া ভাইদের কাছ থেকে ভাসানচরের সুযোগ সুবিধার কথা শুনে তিনি সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জোহরা খাতুন ছয় সন্তান ও স্বামী নিয়ে ভাসানচর যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আশা করছি ক্যাম্পের ঘিঞ্জি পরিবেশ থেকে ভাসানচরের খোলা পরিবেশে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে। ভাসানচরের উন্নত জীবনযাপনের কথা শুনে আমরা যাচ্ছি।
চতুর্থ দফায় দুই হাজার ১২ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন এবং ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর যান। ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি আরও প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন (২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত হিসাব)।