৭৮তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার মঞ্চে মরণোত্তর পুরস্কার পেলেন অভিনেতা চ্যাডউইক বোসম্যান। ড্রামা বিভাগে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেলেন তিনি। ‘মা রায়াইন’স ব্ল্যাক বটম’ ছবিতে একজন দৃঢ়চেতা শিংগা বাদকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্যই তিনি পেলেন গোল্ডেন গ্লোব মরণোত্তর পুরস্কার।
অভিনেতা চ্যাডউইক বোসম্যান গত বছর আগস্ট মাসে কোলন ক্যানসারে মারা যান। চার বছর ধরে এই মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৩ বছর। গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার তার আর নেওয়া হল না। এটাই তার জীবনের প্রথম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। অথচ তিনি আর এই পৃথিবীতেই নেই। তার হয়ে পুরস্কার নিলেন বোসম্যানের স্ত্রী সিমন বোসম্যান। এই পুরস্কার হাতে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তারপর নিজেকে সামলে বলেন “চ্যাডউইক বেঁচে থাকলে এই পুরস্কারের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতেন। নিজের মা-বাবাকে ধন্যবাদ দিতেন। তাদের ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞ থাকতেন। ছবির গোটা টিমকে ধন্যবাদ দিতে নিশ্চয়ই ভুলতেন না। ও বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই অনেক ভাল ভাল কথা বলত যা আমাদের সবাইকে উদ্দীপিত করত। ওঁর মতো করে বলার ক্ষমতা সত্যিই আমার নেই।”
চ্যাডউইক বোসম্যান মার্ভেল ইউনির্ভাসের ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’-এর চরিত্রে অভিনয় করে সবার নজর কাড়েন। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছিলেন। ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ছাড়াও জ্যাকি রবিনসন, জেমস ব্রাউনের মত কালজয়ী কৃষ্ণাঙ্গদের চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা চ্যাডউইক বোসম্যান।
গোল্ডেন গ্লোব মঞ্চে মরণোত্তর পুরস্কার নতুন নয়। এর আগে অভিনেতা হিথ লেডগার (দ্য ডার্ক নাইট, ২০০৯), জেমস ডিন (ইস্ট অফ ইডেন, ১৯৫৬) গোল্ডেন গ্লোব মরণোত্তর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন।