ওমান উপসাগরে ইসরায়েলি কার্গো জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করেছে দেশটি। ‘প্রাথমিক মূল্যায়নের’ ভিত্তিতে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ বিস্ফোরণের সঙ্গে তেহরানের জড়িত থাকার বিষয়ে দাবি করেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ইসরায়েলের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কান’কে বেনি গান্টজ বলেন, ‘ইসরায়েলি নাগরিক ও স্থাপনার ওপর হামলা করতে চায় ইরান। ওমান উপসাগরে বিস্ফোরণের শিকার হওয়া জাহাজটি তুলনামূলকভাবে ইরানের কাছাকাছি অবস্থান করছিল, আর এতেই সন্দেহ হচ্ছে যে, বিস্ফোরণের দায়টা ইরানেরই।’
তবে এটা তার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া এ বিষয়ে আরও বড় পরিসরে তদন্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
ওমান উপসাগরে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ইসরায়েলি কার্গো জাহাজের নাম এমভি হেলিয়স রে। জাহাজটি মূলত বিভিন্ন যানবাহন পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হতো। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে জাহাজটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর জাহাজটির দুই পাশে ছিদ্র হয়ে যায় এবং পরে নিকটবর্তী একটি বন্দরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বিস্ফোরণের কারণ এখন জানা যায়নি এবং হতাহতেরও কোনো ঘটনা ঘটেনি।
‘এমভি হেলিয়স রে’- এর মালিক ৭৪ বছর বয়সী আব্রাহাম উনগার। তিনি ইসরাইলের অন্যতম প্রধান ধনী ব্যক্তি এবং তেল আবিবভিত্তিক ‘রে শিপিং লিমিটেড’-এর প্রতিষ্ঠাতা। ব্রিটেনের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্সের তথ্য মতে- এমভি হেলিয়স রে সৌদি আরবের দাম্মাম বন্দর থেকে গাড়ি বহন করছিল। আগামী ৫ মার্চ জাহাজটির সিঙ্গাপুর পৌঁছানোর কথা ছিল।
জাহাজের মালিক রামি উনগারের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে জাহাজটিতে দেড় মিটার ব্যাসার্ধের দুটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইঞ্জিনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা ক্রুদের কেউ হতাহত হয়নি।
ইরান অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র: রয়টার্স