রেলে বড় নিয়োগ আসছে: রেলমন্ত্রী

অবশ্যই পরুন

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেলে লোকবলের অভাবে প্রায় বন্ধ রয়েছে ১৩৬টি স্টেশন। লোকবল সংকট নিরসনে ইতিমধ্যেই আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। এই মাসের মধ্যেই ১০ থেকে ১২ হাজার লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা আশা করছি আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে রেলের লোকবল ঘাটতির যে অভিযোগ তা দূর করতে পারবো।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন সমূহে আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা এবং পারস্পরিক শিখন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায়ে রেলের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। দিনরাত অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ফলে রেল সম্পর্কে মানুষের একটি পজেটিভ ধারণা তৈরি হয়েছে।

রেলের সার্ভিস প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জনগণকে রেলের পুরোপুরি সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু যথাসময়ে ট্রেন আসা যাওয়া না করতে পারলে ভালো সার্ভিস জনগণ পাবে না। আমাদের ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু ট্রেন লাইনের সংখ্যা বাড়ছে না। আমাদের ট্রেনগুলো বেশির ভাগই এক লাইনে চলাচল করে। ট্রেন লাইনগুলো যতদিন পর্যন্ত এক লাইন থেকে ডাবল লাইন না করা হবে ততদিন ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় এড়ানো যাবে না। আর সিডিউল বিপর্যয় রোধ না করা গেলে জনগণ ভালো সেবা পাবে না।

রেলের যাত্রীসেবার মানের বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের পরিপূর্ণ সেবা দেওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনারা জানেন ইতিমধ্যেই আমরা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলো উঁচু করেছি। তাছাড়া ট্রেনের ২০০ নতুন কোচে বায়োটয়লেটে যুক্ত করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে (পিবিআরএলপি) তহবিল সংকট দেখা দিয়েছে বলে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি) গতকাল গণমাধ্যমে একটি প্রেস রিলিজ পাঠিয়েছিল এই বিষয়ে জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যে সোর্স থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে এই ধরনের কোন চিঠি তারা পাঠায়নি বলে আমাকে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প ২০১৮ সালে শুরু হয়। এখানে আমাদের কনসালটেন্ট থাকে আমাদের প্রকল্প পরিচালক তারা এই বিষয়গুলো দেখেন। এখানে প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদাভাবে ঠিকাদারকে টাকা দেওয়া হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল দিয়েছে। যারা বিল পান নাই, পেয়ে যাবেন। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রকল্পটি আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে। সুতরাং যে কথাগুলো তারা বলছে যুক্তিসঙ্গতভাবে সেগুলো ঠিক না। আর এই সব পত্র পত্রিকাতেও বলার কিছু নেই।

এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টরা জবাব দিতে পারবেন। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলেছে এই ধরনের চিঠি তারা পাঠায়নি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী সহ ওয়াটারএইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ) হাসিন জাহান সহ আরও অনেকেই।

সর্বশেষ সংবাদ

রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনেও সঙ্গে থাকার বার্তা জাপানের

রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। রোববার (২৪...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ