বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ (রিজার্ভ) প্রথমবারের মতো ৪৪ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বুধবার দিনশেষে রিজার্ভ ৪৪ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় তিন লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।
প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় ১১ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ৪৩ বিলিয়ন, ১৫ ডিসেম্বর ৪২ বিলিয়ন এবং ২৮ অক্টোবর ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিনমাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে এবং রপ্তানিও বেড়েছে। আমদানি ব্যয়ের চাপ কম। দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে। তবে সামনে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করলে রিজার্ভ আবার কিছুটা কমে যাবে।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ইরান ও মালদ্বীপ- এ নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এ দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর পরিশোধ করতে হয়।