যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি দাঁড়াতে চান কলামনিস্ট, সাংবাদিক ই. জ্যাঁ ক্যারোল। একবার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবনের সব ক্ষোভ ঝাড়তে চান দুই দশকেরও আগে তাকে ‘ধর্ষণকারী’ ট্রাম্পের ওপর।
এ জন্য তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করার চেষ্টা করছেন। এ বছরেই পরের দিকে তিনি এমন মামলা করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিটি দিন আমি ওই নারকীয়তার কথা ভাবি। এর আগে ধর্ষণের অভিযোগ করলে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ট্রাম্প তাকে ‘আমার উপযোগী নয়’ বলে মন্তব্য করেন। এ কারণে মানহানির মামলা করেছিলেন ক্যারোল।
কিন্তু ট্রাম্প তখন প্রেসিডেন্ট। এ জন্য তিনি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ওই মামলা বিলম্বিত করার জন্য সাহায্য চান। ক্যারোল বলেন, ট্রাম্প এখন আর প্রেসিডেন্ট নেই। এ বছরই তার বিরুদ্ধে নতুন করে তিনি অভিযোগ করছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, অনলাইন ডেইলি মেইল।
এতে বলা হয়, ক্যারোল অভিযোগ করেছেন ১৯৯৬ সালে ম্যানহাটানে বার্গডর্ফ গুডম্যান ড্রেসিং রুমে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন ট্রাম্প।
কিন্তু ট্রাম্প এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তিনি ক্যারোলকে কখনো চেনেনই না। এমনকি তিনি ‘আমার উপযোগী নন’ বলে মন্তব্য করেন। অভিযোগ করেন, ক্যারোল তার নতুন বইয়ের বিক্রি বাড়াতে এসব অভিযোগ করছে। এ সপ্তাহে রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্যারোল। তিনি বলেছেন, আমি এমন একটি সময়ের জন্য অপেক্ষা করছি, যেদিন তার (ট্রাম্পের) মুখোমুখি একটি রুমে বসবো। এমনটা আমি প্রতিদিনই ভাবি।
উল্লেখ্য জ্যাঁ ক্যারোলের বয়স এখন ৭৭ বছর। তিনি বিখ্যাত ইলি ম্যাগাজিনের কলামনিস্ট। এখন তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন। তবে কি পরিমাণ ক্ষতিপূরণ চাইবেন তা নিশ্চিত নয়। তিনি মনে করছেন একই সঙ্গে তার বিষয়ে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন তা প্রত্যাহার চাইবেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি মানহানির মামলা করা হবে। এর মধ্যে একটিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচারে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হচ্ছে। ক্যারোল আশা করছেন, ট্রাম্প এখন প্রেসিডেন্ট নেই। তাই এই মামলাটি দ্রুত গতি পাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার আইনজীবীরা এই মামলাটি বিলম্বিত করেছেন। তার পদ ব্যবহার করে এই মামলাকে সামনে এগুতে দেননি। প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে সিভিল মামলা অসম্ভব বলে বলা হয়।
এ বিষয়ে ফেডারেল সাবেক প্রসিকিউটর জেনিফার রজারস বলেন, সিভিল স্যুট বা মামলা পরিচালনায় একমাত্র যে বাধা ছিল, তা হলো ট্রাম্প তখন প্রেসিডেন্ট। রজারস বর্তমানে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল-এর ক্লিনিক্যাল ল-এর এডজাঙ্কট প্রফেসর। ক্যারোলের আইনজীবী রবার্তা কাপলান বলেছেন, আমার মনে হয়, এখন বিচারকদের মধ্যে বোধোদয় হবে যে, এখন সময় এই মামলাকে সামনে এগিয়ে নেয়ার। এ বিষয়ে ট্রাম্পের কোনো আইনজীবী বা প্রতিনিধির মন্তব্য পাওয়া যায়নি।