আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলেই আপিল করার দারুণ সুযোগ ক্রিকেটারদের। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) দিয়ে ক্রিকেটাররা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে বদলে দিতে পারেন। কিন্তু এই ডিআরএস নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। নানা সময় নানা কথা উঠেছে। যে কারণে এবার আইসিসি উদ্যোগ নিয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে ডিআরএসের নিয়ম-নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজেও কিন্তু ডিআরএস নিয়ে প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। ডিআরএসে আম্পায়ার্স কলের যৌক্তিকতা বা অনফিল্ড আম্পায়ারের এখতিয়ার নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার নিয়ম বদলের ইঙ্গিত দিল মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব। শুধু ডিআরএস নয়, বদলাতে পারে টেস্ট ক্রিকেটে শর্ট বলের নিয়মও।
সোমবার এমসিসির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মাইক গ্যাটিংয়ের নেতৃত্বে এমসিসির ক্রিকেট কমিটি ডিআরএস, শর্ট বল এবং সালাইভা (থুথু ব্যবহার) নিষেধাজ্ঞার নিয়ম পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করব।’
বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ক্রিকেটের এই নিয়মগুলি পরিবর্তনের প্রয়োজন কি না, তা নির্ধারণ করবে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেটে ব্যাট এবং বলের সামঞ্জস্য খুবই প্রয়োজন। তা বজায় রাখতে যা যা বদলের প্রয়োজন, সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।’
এমসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী মার্চে পুরো বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের মত নেওয়া হবে শর্ট বলের নিয়মে কী কী পরিবর্তন আনা যায়, তা নিয়ে। ২০২২ সালের শুরুতেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে এমসিসি।’
কিছুদিন আগে শচিন টেন্ডুলকার প্রশ্ন তুলেছিলেন ডিআরএসে আম্পায়ার্স কল নিয়ে। প্রশ্ন তুলেছেন অন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও। শোনা যাচ্ছে, এমসিসি এই নিয়মের পরিবর্তে অন্য কোনো পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে। তবে, সেটাও হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই।
এছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে এমসিসি। সেটা হল, মুখের লালা কিংবা থুথু ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। করোনা পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বলে থুথু ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আইসিসি। যা পেসারদের জন্য অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে; কিন্তু এমসিসি মনে করছে এখনই থুথুর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নাও হতে পারে। বরং, এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।