মঙ্গল গ্রহের মাটিতে নেমে কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছে মার্কিন সংস্থা নাসার পারসিভারেন্স রোভার। মাটিতে না নামলেও ভারত, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অরবিটার লাল গ্রহের কক্ষপথে ঘুরছে। এদের মধ্যে আমিরাতের অরবিটার ‘আল আমাল’ ছবি তুলে পাঠাল সৌরজগতের সবথেকে বড় আগ্নেয়গিরির।
আল আমাল শব্দের ইংরেজি অর্থ হোপ, মানে আশা। এই হোপের তোলা ছবি প্রকাশ করেছে আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। ৯ ফেব্রুয়ারি কক্ষপথে ঢুকে পড়েছিল তাদের অরবিটারটি, এক দিন পর, ১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মন্স-এর ছবি পাঠিয়েছে সেটি। ছবিতে আগ্নেয়গিরির আশেপাশের দুটি উপত্যকাও দৃশ্যমান।
মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণের ক্ষমতা নাসার রোভার ছাড়া রয়েছে চীনের তিয়ানওয়েন-১-এর। বাকিরা শুধুই কক্ষপথে ঘুরবে এবং বায়ুমণ্ডল সংক্রান্ত তথ্য আবিষ্কার করবে। তিয়ানওয়েন-১ মহাকাশযানে অরবিটার ছাড়াও রয়েছে একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভার। অবতরণের দায়িত্ব ল্যান্ডারের ও মঙ্গলের মাটিতে ঘুরে বেড়ানোর কাজ রোভারের। এখন কক্ষপথে ঘুরলেও মার্চের শেষে মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণ করার কথা তার।
মনে করা হচ্ছে, এই নতুন দশক মঙ্গলগ্রহের রহস্যভেদে বড়সড় সাফল্য আসতে পারে। ওই গ্রহের উপরিতলে পানি বা প্রাণের সম্ভাবনা না থাকলেও, মাটির নিচে মাইক্রো-অর্গ্যানিজম থাকতেও পারে, মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এও বলা হয়েছে, পৃথিবী যেমন প্রথমদিকে সাগরময় ছিল, মঙ্গলও তাই। কোনো কারণে বায়ুমণ্ডল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলপৃষ্ঠ একেবারে শুকিয়ে যায়। সরেজমিনে তদন্ত করতে তাই চেষ্টা চালাবে পারসিভারেন্স ও তিয়ানওয়েন-১।
সূত্র : আজকাল