পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘আমি মাঝেমাঝে অবাক হয়ে তাকাই, একটা সেতু হবে, নদীর ওপর একটা স্প্যান বসবে। ১৬ কোটি মানুষ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে দেখার জন্য। পদ্মা সেতুর স্প্যান, এই অষ্টম স্প্যান, এই নবম স্প্যান, এই দশম স্প্যান! বিরাট নিউজ! টেলিভিশনে, পেপারে, আলোচনায়। তারপরে ছেলেমেয়েরা অনেক সময় গাড়ি ভাড়া করে যায় ওখানে। আমিও দেখেছি নিজে। হাত দিয়ে ফিল করার চেষ্টা করেছি। কত শক্ত, কত দীর্ঘ। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আবেগও হতে পারে কিছুটা। এটা যারা অনুধাবন করছেন না, তারা পেছনে পড়ে যাবেন।’
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই ২০২০-জুন ২০২৫) অবহিতকরণ সভায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
উন্নয়ন প্রকল্প ‘অনুভব’ করার ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ কথাটা বললাম কারণ, গ্রামের লোকের সঙ্গে আমার সরাসরি সংযোগ আছে। শুধু জন্মগত কারণে নয়, বর্তমান রাজনৈতিক কারণেও আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। আমি হরহামেশা যাই। এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়। এটা আমার নিজের প্রয়োজনে আমি করি। আমি বিশ্বাস করি এখন, উনারা কী চায়? তারা দুটি জিনিস চায়। নৈতিক দিক থেকে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস আছে। ধর্মীয় ব্যাপার আছে। তাদের জীবনে একদম দৃঢ়ভাবে ধরে থাকে। দ্বিতীয়ত তারা চায় সড়ক, সেতু, পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মেগা প্রকল্প তো এখন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিয়েছে। পদ্মা, টানেল, রূপপুর, মেট্রোরেল এসব বিশাল বিশাল প্রকল্প পরিকল্পনা একেবারে বিস্ফোরণের পর্যায়ে নিয়ে গেছে বাংলাদেশকে। সাধারণ মানুষ নিজেও খোঁজ-খবর রাখে। এটা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক আমাদের দেশে।’
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘এই পরিকল্পনার আওতায় অনেকগুলো পরিকল্পনা বেবি জন্ম হবে। প্রজেক্ট যেগুলোকে বলি। অনেকগুলো নতুন বেবি জন্ম নেবে। পরিকল্পনা বেবিজ, ডেভেলপমেন্ট বেবিজ। আমাদের এখানে চার-পাঁচজন সদস্য আছেন, তারা সেগুলো পৃথিবীতে নিয়ে আসবেন। তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পের মাধ্যমে যে ডকুমেন্টটা প্রকাশ করবে, আগামী ৫ বছরে। যা মানুষের জীবনে প্রতিফলিত হবে মঙ্গলের দিকে, বিকাশের দিকে, অবিকাশের দিকে নয়। সেই নির্বাহী কাজটা আমাদের সদস্যরা তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আস্থা আছে যে, তারা তাদের অভিজ্ঞতা…। সততা শব্দটা আমি ব্যবহার করি না। আই ডোন্ট লাইক দ্য ওয়ার্ড। আমি মনে করি, আমরা সবাই সৎ, অসৎ না হওয়া পর্যন্ত। উনাদের হাত দিয়ে ডকুমেন্টগুলো আগামী পাঁচ বছরে বের হবে। যার মাধ্যমে আমরা আমাদের গোটা সিস্টেমটাকে আরো সামনে নিয়ে যাবো।’
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশন বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সব সদস্য ও আইএমইডি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।