spot_img

বাংলাদেশ-ভারতের মানুষের আকাঙ্ক্ষার জায়গা এক : দোরাইস্বামী

অবশ্যই পরুন

 বাংলাদেশ-ভারতের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার জায়গা এক। এজন্য দুদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস, বাংলাদেশ (ইমক্যাব) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজরুল আহসান বুলবুল ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ।

বিক্রম কে দোরাইস্বামী বলেন, আমার জন্য যা ভালো, আপনার জন্য তা ভালো, আপনার জন্য যা ভালো, আমার জন্য তা ভালো- এ নীতিতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে সন্দেহের কোনো জায়গা নেই। আমাদের এভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়েই দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক কেমন হবে, তা বলা হয়ে গেছে। এর জন্য নতুন নীতিমালা করার কিছু নেই।

দুদেশের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ৭৫-এর পরে দুদেশের সম্পর্ক বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক এবং সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ট্রাভেল পার্টনার। এভাবেই আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক যেমন বৃদ্ধি হয়েছে, তেমনি সে সম্পর্ক ধ্বংসেরও চেষ্টা হয়েছে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। প্রতিবেশীদের মধ্যে নানা সমস্যা থাকে। সে সমস্যা আন্তরিকতার সঙ্গে সমাধান করতে হবে।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, দুদেশের সম্পর্ক এখন সবচেয়ে উচ্চমাত্রায়। তবে দুদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে আরো কাজ করতে হবে। কিছু বিষয়ে এখনো অমীমাংসিত। তিস্তা চুক্তি নিয়ে হতাশা রয়েছে। সীমান্তে হত্যা হলে আমাদের সম্পর্ক অম্ল-মধুর হয়ে যায়।

মনজরুল আহসান বুলবুল বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু প্রথম ভারত সফরে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তার সৈন্যদের প্রত্যাহার করেছিলেন। এটি ছিলো কূটনৈতিক ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের প্রমাণ।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের মর্যাদার, শ্রদ্ধার ও সম্মানের সম্পর্ক। এটিই আমাদের পথরেখা। এগিয়ে যাওয়ার জায়গা।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব। ইমক্যাবের সভাপতি বাসুদেব ধরের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইমক্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিদুল হাসান খোকন।

সর্বশেষ সংবাদ

মহানবী (সা.) রওজা শরিফ জিয়ারতে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা

এখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ