মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোকে নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্য ক্রিমিয়া উপত্যকায় বড় ধরনের সামরিক মহড়ার আয়োজন করতে যাচ্ছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল এক ঘোষণায় বলেছে, আগামী মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ক্রিমিয়া উপত্যকার ‘উপুক’ অঞ্চলে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। মহড়ায় এয়ারবোর্ন, প্যারাট্রুপার ও আর্টিলারি বাহিনী অংশ নেবে। এতে রাশিয়ার ছত্রীসেনারা অপরিচিত স্থানে অবতরণের কসরত করবেন। সেইসঙ্গে তারা কল্পিত শত্রুসেনাদের অস্ত্রসস্ত্র দখল করে নিজেদের আগের অবস্থানে ফিরে যাবেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, আসন্ন মহড়ায় তিন হাজারের বেশি ছত্রীসেনা ও সামরিক বাহিনীর প্রায় ২০০ ইউনিট অংশ নেবে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শুইগো কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর বিমান সেনারা সাম্প্রতিক সময় রুশ আকাশসীমার আশপাশে তাদের গতিবিধি বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা রাশিয়ার বিভিন্ন অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মহড়া চালাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তার ওই বক্তব্যের কয়েকদিনের মধ্যে ক্রিমিয়া উপত্যকায় সামরিক মহড়া করার ঘোষণা দিলো মস্কো।
রাশিয়া সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার এই অভিযোগ করেছে যে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ সত্ত্বেও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো তাদের সামরিক মহড়া বৃদ্ধি করেছে যার মূল লক্ষ্য রাশিয়া। রাশিয়ার ওপর গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে ন্যাটো সম্প্রতি নরওয়েতে অবস্থিতি ‘গ্লোবস-৩’ রাডার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে বলে পশ্চিমা গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: পার্সটুডে