spot_img

করোনায় প্রণোদনার ঋণের মেয়াদ ৬ মাস বৃদ্ধি

অবশ্যই পরুন

 করোনাকালীন প্রদেয় প্রণোদনার ঋণ ও সুদ পরিশোধে আরও ৬ মাস সময় দেয়া হয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী গার্মেন্টস শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বর্তমানে এই ঋণ ও সুদ পরিশোধের গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে ৬ মাস, যা গত জানুয়ারি মাসে শেষ হয়েছে।

সোমবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য অর্থ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এখন তা আরও ৬ মাস বাড়িয়ে ১ বছর করা হয়েছে। তবে ঋণের সুদ-আসল আগের মতো ১৮ কিস্তিতেই পরিশোধ করতে হবে। আগে ঋণ ২ বছরে পরিশোধ করার কথা ছিল। এখন গ্রেস পিরিয়ড বাড়ানোর কারণে বিজিএমই ঋণ পরিশোধে আরও সময় পাচ্ছে। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছর প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের স্বল্প সুদে ৩ মাসের বেতন ঋণ হিসেবে প্রদান করে সরকার। টাকার অঙ্কের যার পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই ঋণের সার্ভিস চার্জ ছিল মাত্র ২ শতাংশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, করোনাকালে সবচেয়ে বেশি প্রণোদনা পেয়েছে তৈরি পোশাক খাত। এই খাতসহ রফতানিমূখী শিল্প শ্রমিকদের মজুরি দিতে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করে। ৩ দফায় শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে মোট ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেয়া হয়।

জানা গেছে, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার ঋণ পরিশোধে বেশ কিছু শর্ত দেয়া ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ঋণের পুরো অর্থ শোধ করতে তারা ২ বছর পাবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস। এরপর ২ বছরে ১৮ কিস্তিতে ঋণের টাকা শোধ দিতে হবে।

কিন্তু গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের কারণে ক্রেতারা ক্রয়াদেশ বাতিল, স্থগিত, নির্দিষ্ট সময়ে পেমেন্ট না দেয়া ইত্যাদি কারণে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে না।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিজিএমই এর অবস্থা তুলে ধরে গত বছরের শেষ দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। চিঠিতে করোনা পরিস্থিতির কারণে সচল শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতার জন্য দেয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাসের পরিবর্তে ১ বছর করা এবং ২ বছরে ১৮ কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের পরিবর্তে ৫ বছরে ৬০টি কিস্তির সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয়।

কিন্তু এ বিষয়ে কোনও সাড়া না পেয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক গত জানুয়ারি মাসে গণমাধ্যমে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ২০২১ সালের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়।

লক্ষণীয় বিষয় হলো, এই নির্দেশনা এমন সময়ে দেয়া হলো, যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে শিল্প গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণের সুদ অন্ততপক্ষে ৬ মাসের জন্য স্থগিতকরণ অথবা প্রণোদনা পরিশোধের মেয়াদ অন্ততপক্ষে আরও ১ বছর (বর্তমানে ২৪ মাস) সম্প্রসারিত করা না হলে শিল্প টিকিয়ে রাখা দুরূহ হবে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের যে রফতানি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানেও রফতানির উদ্বেগজনক চিত্র বহাল আছে। এরপর বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করে বিজিএমইএ। শেষ পর্যন্ত ঋণের গ্রেস পিরিয়ড আরও ৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

মহানবী (সা.) রওজা শরিফ জিয়ারতে সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা

এখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ