spot_img

যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করল তালেবান

অবশ্যই পরুন

আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠী তাদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত চুক্তি মেনে চলার ওপর জোর দিয়ে বলেছে, তারা আফগানিস্তানে বিদেশী সেনাদের হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না। তালেবান আলোচক দলের প্রধান মোল্লা বারাদার ও মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ তালেবানের পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তালেবান বলেছে, আমেরিকা যদি ওই চুক্তি মেনে চলে তাহলে আমরাও তা মেনে চলব। অন্যথায় দেশের স্বাধীনতার স্বার্থে সব ধরনের ত্যাগ বা কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে তালেবান।

সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দিতে থাকায় তালেবানদের পক্ষ থেকেও চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে হুঁশিয়ারি ক্রমেই বাড়ছে। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য মার্কিন সরকার এখনো প্রায় দুই মাস সময় পাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন সরকার যদি তালেবানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে না চলে তাহলে আফগানিস্তানে পশ্চিমা সেনাদের ওপর তালেবানের হামলা বৃদ্ধি পাবে। এমনকি মার্কিন সরকার যদি এ চুক্তি বাতিল বলেও ঘোষণা করে তাহলে তালেবানরা পুনরায় এ চুক্তিতে মার্কিন সরকারের ফিরে আসার অপেক্ষায় না থেকেই মার্কিন ও ন্যাটোর সেনাদের ওপর হামলা শুরু করবে।

তবে মার্কিন সরকারের সামরিক ও নিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ আভাস মিলেছে যে জো বাইডেনের মার্কিন সরকার আফগানিস্তান থেকে সেনা ফিরিয়ে নেয়া সংক্রান্ত তালেবানদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি পর্যালোচনা করে দেখছে এবং এ ব্যাপারে মিত্রদের সঙ্গেও আলোচনা বা পরামর্শ করতে চাইছে। অন্য কথায় আফগানিস্তান থেকে শিগগিরই সেনা ফিরিয়ে নেয়ার তাগিদ অনুভব করছে না মার্কিন সরকার। সম্প্রতি ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের যে বৈঠক হয়েছে তাতে আফগান বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারেনি এই জোট।

গত বছর কাতারের দোহায় মার্কিন-তালেবান আলোচনার পর আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা ফিরিয়ে নেয়া সংক্রান্ত নানা শর্তযুক্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিল মার্কিন সরকার ও তালেবান। ওই চুক্তিতে বলা হয়, তালেবানরা যদি এই চুক্তির শর্তগুলো  মেনে চলে তাহলে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ সব পশ্চিমা সেনা আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। কাবুল সরকারের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই মার্কিন সরকার এই চুক্তি স্বাক্ষর করে বলে কাবুলের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে।

পশ্চিমা সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করলে দেশটিতে কাবুলের বর্তমান সরকারের পতন ঘটতে পারে অথবা গৃহযুদ্ধ জোরদার হতে পারে। এ অবস্থায় বাইডেন সরকার তালেবানদের সঙ্গে করা চুক্তি হয় পুরোপুরি মেনে চলবে অথবা তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা করেই আফগানিস্তানে আরো কিছুকাল পশ্চিমা সেনা মোতায়েন রাখবে কিংবা অনির্দিষ্টকাল ধরে এই দেশটিতে সেনা মোতায়েন অব্যাহত রাখবে। তালেবান-মার্কিন চুক্তি আসলে আফগানিস্তানে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি বলে কাবুলের আফগান সরকার মনে করে।

বাইডেন সরকার কাবুলের আফগান সরকারের সঙ্গে কৌশলগত কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাচ্ছে বলেও অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন। আর এ জন্যই বাইডেন সরকার একই সময়ে সব মার্কিন সেনা ফিরিয়ে নেয়ার পরিবর্তে নিজ স্বার্থ বজায় রেখেই আফগানিস্তান থেকে পর্যায়ক্রমে বা ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছে। বাইডেন মনে করেন রাশিয়া ও চীন মার্কিন সরকারের জন্য কৌশলগত হুমকি হওয়ায় আফগানিস্তানে মার্কিন উপস্থিতি বজায় রাখাটা জরুরি।

সূত্র: পার্সটুডে

সর্বশেষ সংবাদ

বায়ুদূষণ চরম সীমায়, দিল্লিতে বন্ধ স্কুল-কলেজ

বায়ুদূষণের চরম সীমায় পৌঁছেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এবার মৌসুমের সবচেয়ে বড় বায়ুদূষণের কবলে পড়ে রীতিমতো স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ