গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি দেখছে ইউরোপের দেশ ব্রিটেন। রাজধানী লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি থাকলেও দেশজুড়ে জারি করা কারফিউ শেষ হয়েছে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। এমতাবস্থায় আজ নতুন নির্দেশনা দিতে যাচ্ছেন বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ব্রিটেনের গণমাধ্যম বলছে, নতুন করে লকডাউন জারি হতে পারে। তবে গত কয়েকদিন ধরে ভাইরাসটিতে মৃত্যুহার কমতে থাকায় কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হতে পারে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, গত একদিনে ৯ হাজার ৮৩৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ১৫ হাজার ৫০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে ২১৫ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ২০ হাজার ৫৮০ জনে ঠেকেছে। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনামুক্ত হয়েছেন ২৪ লাখ ৯৪ হাজার রোগী। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ও বেঁচে ফিরেছেন ৫৬ হাজার ৫২৫ জন।
এদিকে, আশঙ্কাজনকহারে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই আছে। এমতাবস্থায় লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। এ সময়ে জনসাধারণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে দেশটিতে ক্রমাগত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেইন। চলছে টিকা প্রয়োগও। এতদিন কোন সুফল না মিললেও গত সপ্তাহ থেকে ক্রমান্বয়ে স্বস্তি ফিরছে দেশটিতে। করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন থেকে ঝুঁকি এড়াতে ১৮ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে সব ধরনের ভ্রমণ পথ বন্ধ করে যুক্তরাজ্য।
ব্রাজিলের করোনাভাইরাসের আলাদা এবং অজ্ঞাত এক ধরন শনাক্ত হলে উদ্বেগ তৈরি হয় যুক্তরাজ্যে। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকা এবং পর্তুগালের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। বলা হয়েছে যে, এরপরও যারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করবে তাদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।