জেলার করিমগঞ্জে চাঞ্চল্যকর নববধূ রুবা হত্যা মামলায় দুই নারীসহ ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে আর্থিক দণ্ড দেয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আ. রহিম সোমবার সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা সবাই একই পরিবারের।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, লুৎতু ওরফে রুকন (৩০), রুকনের চাচাতো ভাই শরীফ (২২), শরীফের বাবা সোহরাব (৪৫), সোহরাবের স্ত্রী জোৎস্না (৪০), মুসলিম (৫৫) ও মুসলিমের স্ত্রী নূর নাহার (৩৫)। এরা সবাই সম্পর্কে রুবার স্বামী শামীমের চাচা, চাচি, চাচাতো ভাই ও তার স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের ভাটিয়া মোগলপাড়া গ্রামের মৃত আ. কদ্দুসের ছেলে শামীমের সাথে বিয়ে হয় একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে রুবার। এ বিয়েতে শামীমের মত ছিল না।
বিয়ের মাত্র ১৫ দিন পর ২০১১ সালের ৩ জুন রাতে আসামিরা শ্বাসরোধ করে রুবাকে হত্যা করে বাড়ির পেছনের ডোবায় ফেলে দেন। ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে রুবার ভাই আলামিন বাদী হয়ে ৪ জুন রুবার স্বামীসহ ৭ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর শামীম ছাড়া অপর ৬ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দেন করিমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শওকত জাহান। আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলা পরিচালনা করেন।