জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কাছে ভাষা আন্দোলন নিছক বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল না, তার কাছে ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুরু থেকেই ভাষা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়। বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের উভয় পর্বে- কী বাইরে, কী কারাভ্যন্তরে- উভয়স্থানে থেকেই ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বাস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনলাইন প্লাটফর্মে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। প্রধান অতিথি এবং আলোচকগণ ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা বিশদভাবে তুলে ধরেন।
উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভাষা আন্দোলনে (১৯৪৮সাল) সর্ব প্রথম কারাবন্দীদের মধ্যে অন্যতম। দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধু কারাগারে বন্দী থাকলেও চিকিৎসার জন্য তাকে যখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হল সেখানে ছাত্র নেতৃবৃন্দ তার সাথে গোপনে সাক্ষাৎ করেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি (১৯৫২) ভাষা আন্দোলনের কর্মসূচি যেকোনো মূল্যে পালনের জন্য বঙ্গবন্ধু দিকনির্দেশনা দেন। এরপর বঙ্গবন্ধুকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফরিদপুর কারাগারে নেয়া হয়। সেখানে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে একনাগাড়ে ১১দিন অনশন পালন করেন এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই বছর দুই মাস কারাভোগ শেষে তিনি মুক্তি লাভ করেন।