আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন। তারা বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগে অবশ্যই সেখানে সহিংসতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসতে হবে। ২০ বছর আগে তালিবান হটানোর নামে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন করে আমেরিকা।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবারের ন্যাটো জোটের কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন এবং সেখানে আফগানিস্তানে মোতায়েন জোটের ৯ হাজার ৬০০ সেনার ভাগ্যে কী হবে তা নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সম্পর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন লয়েড শুক্রবার পেন্টাগনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সরকার তাড়াহুড়ো কিংবা বিশৃঙ্খলভাবে সেনা প্রত্যাহার করবে না যাতে ন্যাটো জোটের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়। গতমাসে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এবারই প্রথম অস্টিন লয়েড পেন্টাগনে প্রথম সাংবাদিকদের ব্রিফ করলেন।
লয়েড অস্টিন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত মিশন চলবে এবং যে কোনো ঝুঁকির মুখে নিজেদের রক্ষার ক্ষেত্রে কমান্ডারদের দায়িত্ব ও অধিকার রয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও তালিবানের মধ্যে কাতারে এক শান্তি চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুসারে ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করার কথা আমেরিকার। যদিও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে। ফলে আফগানিস্তান থেকে শিগগিরই সেনা প্রত্যাহার হবে বলে মনে হচ্ছে না।