মার্কিন অভিনেত্রী-মডেল কিম কার্দাশিয়ান ও র্যাপার কেনি ওয়েস্টের সাত বছরের সংসার ভাঙতে চলেছে। এনিয়ে কিমের তৃতীয় স্বামীর সঙ্গেও বিচ্ছেদের সুর শোনা গেল।
ইতোমধ্যে তালাক চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন কিম। কিম-কেনি দম্পতির ঘরে রয়েছে চার সন্তান। কয়েক মাস ধরে দাম্পত্য জটিলতার গুঞ্জনের পর সেলেব্রিটি নিউজ ওয়েবসাইট টিএমজেড তাদের বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশ্যে আনে।
সংসার ভাঙার সিদ্ধান্তের কারণ, কিম এবং কেনির মধ্যেকার ঘন ঘন মতের অমিল যা চেষ্টা করেও তারা ঠিক করতে পারেননি। তাদের সন্তানদের দেখভালের জন্য আদালতের কাছে যৌথ কাস্টডি’র আবেদন করা হয়েছে।
কিম অথবা কেনি অফিসিয়ালি তাদের বিবাহবিচ্ছেদের খবর এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে না আনলেও ওই সেলেব্রিটি দম্পতির এক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, ‘বেশ কয়েক মাস ধরেই আলাদা থাকছেন কিম-কেনি। শুধুমাত্র সন্তানদের কথা ভেবেই এখনও পর্যন্ত দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে তাদের তবে কিম নিজেও জানে তাদের সম্পর্ক শেষ।’
দ্বিতীয় স্বামী থাকাকালীন কিম ২০১২ সাল থেকে প্রেম করতে শুরু করেন কেনির সঙ্গে। ২০১৪ সালের মে মাসে বিয়ে করেন তারা। তাদের চার সন্তানের নাম নর্থ, সেন্ট, শিকাগো এবং পাম। বিগত এক বছর ধরেই কিম-কেনির সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। গত বছর জুলাই মাসে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের হয়ে এক নির্বাচনী প্রচারে কেনি বলেন তার প্রথম সন্তানকে নষ্ট করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয় কিম এবং কিমের মায়ের বিরুদ্ধে তালা বন্ধ করে রাখার অভিযোগও আনেন তিনি, পরে যদিও সেই সব টুইট মুছে দেন কেনি।
পাল্টা জবাবে কিম এক জানান, ‘কেনি অসাধারণ মানুষ। কিন্তু একই সঙ্গে খুব জটিল। একজন শিল্পী এবং কালো মানুষ হওয়ার চাপ সব সময় ওর মধ্যে থাকে। তার মধ্যে ওর বাইপোলার ডিজঅর্ডার। যারা কেনির কাছে মানুষ তারা ওর হৃদয় বোঝে জানে কখনও কখনও সে যা করে তা ওর কথার মধ্যে প্রকাশ পায় না।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০০ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে সঙ্গীত প্রযোজক ড্যামন থমাসকে বিয়ে করেছিলেন কিম। সেই বিয়ে স্থায়ী হয়নি। এরপর ২০১১ সালে ক্রিস হামফ্রিজকে কিম আবার বিয়ে করলেও মাত্র ২০১৩ সালের দিকে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তার। এর পরেই কেনির সঙ্গে সংসার শুরু করেন কিম। তারমধ্যে আবারও সংসার ভাঙার খবর এলো।